Television

টিভিতে খেলা ও বিনোদনের চ্যানেল বন্ধ, দাম বৃদ্ধির বিরোধিতায় সরব কয়েকটি কেবল সংস্থা

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যানেলের নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। বেশ কিছু চ্যানেলের দাম ১০-১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তারই বিরোধিতা করছে কেবল সংস্থাগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪৫
Share:

বহু কেবল গ্রাহক বেশ কয়েকটি খেলা ও বিনোদনের চ্যানেল দেখতে পারছেন না। প্রতীকী ছবি।

চ্যানেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি কেবল সংস্থা। এ বার একাধিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা সেই সব কেবলে নিজেদের চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল। তাদের মধ্যে রয়েছে— ডিসনি স্টার, জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ়েস এবং সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়া। যার জেরে বহু কেবল গ্রাহক বেশ কয়েকটি খেলা ও বিনোদনের চ্যানেল দেখতে পারছেন না।

Advertisement

সম্প্রতি টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই শুল্ক বাড়ানোয় ব্রডকাস্টিং সংস্থাগুলি তাদের চ্যানেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই বিরোধিতা করছে কিছু মাল্টি-সিস্টেম অপারেটর (এমএসও) এবং স্থানীয় কেবল অপারেটর (এলসিও)-রা। সেই তালিকায় রয়েছে— জিটিপিএল, কেসিবিপিএল। তাদের বক্তব্য, এ ভাবে চ্যানেলের দাম বাড়ানো হলে তাদের গ্রাহক কমে যাবে। তাদের দাবি, এমনিতেই জিও, এয়ারটেলের মতো সংস্থা তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। ব্রডব্যান্ড লাইনের সঙ্গে টিভির লাইনও জুড়ে দিচ্ছে। মোটের উপর খরচ কমে যাওয়ায় সেই কারণে এখন অনেক বাড়িতেই কেবল সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করছে এবং এ বিষয়ে কোনও চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি নয়।

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যানেলের নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। বেশ কিছু চ্যানেলের দাম ১০-১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তারই বিরোধিতা করছে কেবল সংস্থাগুলি। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। এলসিও সংস্থাগুলি এই অন্যায্য মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা রুজু করেছে। শীর্ষ আদালত ২১ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছে। বেঙ্গল এলসিও সংস্থা এই সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছে। বিচারপতি মৌখিক ভাবে সম্প্রচারকদের কাছে আগামী মঙ্গলবারের আগে এই সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়ে পদক্ষেপ না করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

Advertisement

মূল্যবৃদ্ধি হলে গ্রাহকদেরও সমস্যা হবে। বিভিন্ন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিলে, প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কোটি গ্রাহকদের উপর তা প্রভাব পড়বে। তা ছাড়া, বিজ্ঞাপনদাতারা এই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে অক্ষম হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২ লক্ষ এলসিও সংস্থা রয়েছে যারা গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস পেলে প্রভাবিত হবে। এর ফলে আশঙ্কা, লক্ষাধিক এলসিও সংস্থা কর্মচারী তাঁদের চাকরি হারাতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement