G20 Summit 2023

ভূস্বর্গে জি২০ বৈঠকে ৬০ জন বিদেশি প্রতিনিধি, কড়া নিরাপত্তা কাশ্মীর জুড়ে, অনুপস্থিত চিন

কাশ্মীরে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ রদ করার পর এই প্রথম সেখানে কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠকের আসর বসতে চলেছে। বৈঠকে ভূস্বর্গের শান্তি, সৌন্দর্যকে অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ১১:৩৯
Share:

ভূস্বর্গে জি২০ বৈঠক, কড়া নিরাপত্তা কাশ্মীর জুড়ে। ছবি: পিটিআই।

জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠকের আসর বসেছে কাশ্মীরে। সোমবার থেকে এই বৈঠক চলবে বুধবার পর্যন্ত। বিভিন্ন দেশের অন্তত ৬০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন এই বৈঠকে। এই বৈঠকের জন্য সাজ সাজ রব গোটা উপত্যকায়। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ রদ করার পর এই প্রথম সেখানে কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠকের আসর বসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের ভিতরে তো বটেই, নানা দেশের তরফেও আপত্তির স্বর শোনা গিয়েছিল। এই আবহে কাশ্মীরের শান্তি, সুস্থিতি এবং সৌন্দর্যকে বিদেশি অতিথিদের সামনে ভারত তুলে ধরার চেষ্টা করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বৈঠকটি হচ্ছে শ্রীনগরের ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে। আশপাশের এলাকাকে নানা ভাবে সাজানো হয়েছে। এই বৈঠকে ভারতের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানিয়েছেন, জি২০ বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতে নানা পর্যায়ে মোট ১১৮টি বৈঠক হবে। দেশের নানা প্রান্তে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই বৈঠক হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শীর্ষ বৈঠকটি দিল্লিতে হওয়ার কথা। এই বৈঠকে বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আঁটসাঁট করা হয়েছে। নিরাপত্তায় নামানো হয়েছে সামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কেও। রবিবার কূপওয়াড়া-সহ কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে জঙ্গিদের চর সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতার করছে এনআইএ। ডাল লেকেও নৌকা নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

এই বৈঠকে অনুপস্থিত রয়েছে চিন এবং তুরস্ক। বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য নাম নথিভুক্ত করেনি সৌদি আরবও। ‘বিতর্কিত’ কাশ্মীর ভূখণ্ডে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটন মন্ত্রীদের আসন্ন বৈঠকে তারা যে যোগ দেবে না চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও বিতর্কিত জায়গায় জি২০ বৈঠকের আয়োজন করার সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করছে চিন।’’ চিনের এই মন্তব্যের পরেই কড়া ভাষায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নিজের দেশের মধ্যে কোথায় সম্মেলন হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারত সরকার। এ ব্যাপারে অন্য কোনও দেশের পরামর্শ মানা হবে না। চিনের এই অবস্থানের পিছনে পাকিস্তানের ‘অদৃশ্য হাত’ দেখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement