Arvind Kejriwal

আপের দুর্নীতির তদন্ত করতেই অর্ডিন্যান্স দিল্লিতে! কেজরীওয়ালের পাশে শুধু ‘অসৎ’রাই, তোপ বিজেপির

সুপ্রিম-নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেজরীওয়াল বলেছিলেন, “শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে অপমান করা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ১০:১৫
Share:

কেজরীওয়ালের পাশে শুধু ‘অসৎ’রাই, তোপ বিজেপির! ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) বিতর্কের আবহেই আরও এক বার মুখ খুলল বিজেপি। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দিল্লির বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখী দিল্লির আপ সরকারকে সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “ওদের (আপ) দুর্নীতির তদন্ত করার জন্যই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে।” আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা এই বিষয়ে ওদের (আপ সরকার) সমর্থন করছেন, তাঁদেরও ‘অসৎ’ এবং ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলা যেতে পারে।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখতে শুক্রবার গভীর রাতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। শনিবার সকাল থেকেই সেই অধ্যাদেশ ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিকেলে এই বিষয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আপ প্রধান বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অপমান করা হচ্ছে।” বিষয়টিকে ‘খুব খারাপ মানের মশকরা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তার পরের দিন, রবিবারই কেজরীওয়ালের ‘পাশে থাকতে’ তাঁর বাড়ি যান বিরোধী জোটের অন্যতম দূত নীতীশ।

অর্ডিন্যান্স বিতর্কে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমর্থন পেতে সক্রিয় হয়েছেন কেজরীওয়াল নিজেও। আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। আপ সূত্রে খবর, আগামী ২৪ মুম্বইয়ে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) নেতা উদ্ধব ঠাকরে এবং ২৫ মে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

গত ১১ মে সুপ্রিম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। (দিল্লির) মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন। কিন্তু কমিশনে কেন্দ্র এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রতিনিধিদের সংখ্যা বেশি থাকায় তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ণায়ক হবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement