(বাঁ দিক থেকে, বিবি জাগির কউর এবং সুখবীর বাদল) —ফাইল চিত্র।
অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসছিল লোকসভা ভোটের পর থেকেই। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবের প্রাক্তন শাসকদল ‘শিরোমণি অকালি দলে’র ভাঙন অনিবার্য হয়ে গেল বুধবার। দলের সভাপতি সুখবীর বাদল এবং তাঁর সাংসদ-স্ত্রী হরসিমরত কউরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা আট নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কার করা হল।
বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, শিরোমণি গুরুদ্ধার প্রবন্ধক কমিটির প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিবি জাগির কউর, প্রাক্তন সাংসদ প্রেম সিংহ চান্দুমাজরা, প্রাক্তন বিধায়ক গুরপ্রতাপ সিংহ ওয়াডলার মতো ‘প্রভাবশালী’রা। বুধবার অকালি দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক হয়। তার পরে কমিটির প্রধান বলবিন্দর সিংহ ভুন্ডর বুধবার দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে দলবিরোধী কাজের জন্য আট নেতাকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’
সম্প্রতি বিদ্রোহী ওই আট নেতা-নেত্রী প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন, সুখবীর স্বেচ্ছাচারী ভাবে দল পরিচালনা করছেন এবং একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদী সরকার তিনটি বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ করানোয় প্রতিবাদ জানিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এনডিএ ছেড়েছিল অকালি দল। সুখবীরের স্ত্রী হরসিমরত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার দু’বছর পরে ২০২২ সালের পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে আলাদা ভাবে লড়ে দু’দলেরই ভরাডুবি হয়েছিল। অকালি দল তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছিল।
সেই ‘শিক্ষা’ নিয়েই লোকসভা ভোটে দু’দল আবার হাত মেলাতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। একক ভাবে সে রাজ্যের ১৩টি আসনে লড়ে এক মাত্র ভাটিন্ডায় জিতেছেন সুখবীরের স্ত্রী হরসিমরত, বিজেপির ঝুলিতে শূন্য। কংগ্রেস সাতটি, আম আদমি পার্টি তিনটি এবং নির্দল প্রার্থীরা দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী শিবির নতুন দল গড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে বলে জল্পনা পঞ্জাব রাজনীতিতে।