হুইলচেয়ারে প্রজ্ঞা ঠাকুর।
স্পাইসজেটের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা প্রজ্ঞা ঠাকুরের আনা অভব্যতা এবং বুক করা সিটে বসতে না দেওয়ার অভিযোগের জবাব দিলেন কর্তৃপক্ষ। প্রজ্ঞা ঠাকুর নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা লুকিয়ে বিমানের সিট বুক করেছিলেন এবং যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তাঁকে তাঁর পছন্দের সিটে যে বসতে দেওয়া যায়নি, তা একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ।
গত শনিবার দিল্লি থেকে ভোপালগামী স্পাইসজেট ফ্লাইট ২৪৯৮-এ উঠেছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। তিনি বিমানের ওয়ান-এ সিটের আগাম বুকিং করেছিলেন। কিন্তু বিমানে প্রবেশের পর দরজার কাছের ওই সিটে তাঁকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিমানের ক্রিউ মেম্বাররা পরিবর্তে তাঁকে অন্য একটি সিটে বসার ব্যবস্থা করে দেন। এই নিয়ে বিমানসেবিকাদের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডাও হয়। ভোপাল বিমানবন্দরে নামার পরই স্পাইসজেটের ওই বিমানের সদস্যদের নামে অভব্যতার অভিযোগ করেন তিনি। এয়ারপোর্ট ডিরেক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে লেখেন, “তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখা জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব। তাঁদের যাতে ভবিষ্যতে এরকম অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে জন্যই তিনি অভিযোগ জানাচ্ছেন।”
রবিবার তাঁর অভিযোগের প্রত্যুত্তরে বিবৃতি জারি করেছে স্পাইসজেট। তাতে লেখা হয়েছে, প্রজ্ঞা ঠাকুর যে ওয়ান-এ সিট বুক করেছিলেন সেটা এমারজেন্সি রো সিট। প্রজ্ঞা ঠাকুর নিজের হুইলচেয়ারে বিমানে ওঠেন। হুইলচেয়ারে থাকা কোনও যাত্রীকেই এই সিট দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এতে যাত্রী সুরক্ষার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। সিট আগাম বুক করার সময় তিনি নিজের শারীরিক অবস্থার কথা, হুইলচেয়ারের কথা একবারও কর্তৃপক্ষকে জানাননি। তাই তাঁকে প্রথমে ওই সিট দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেশের কোনও মুসলমানকে তাড়াতে এই আইন নয়, বললেন মোদী
এর পরে আরও সংযোজন, ‘তাঁর সঙ্গে কোনও অভব্য আচরণ করা হয়নি। তাঁকে সুরক্ষার বিষয়টি বুঝিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে নন-এমারজেন্সি রো-এর একটি সিটে বসতে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। এমারজেন্সি সিট সংক্রান্ত সুরক্ষার নির্দেশাবলি দেখতে চান। তাঁকে সেটাও দেখানো হয়।’ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বুঝিয়ে অন্য আসনে বসাতে গিয়ে উড়ানে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ওই দিন যে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, তার জন্য বিবৃতির শেষে তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছে স্পাইসজেট।