প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবারও মুম্বই। রাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গাড়ি নিয়ে উঠে পড়লেন রাস্তার পাশের ফুটপাতে। সেই ফুটপাতেই নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। এক জনকে পিষে দিয়ে এবং অন্য জনকে ধাক্কা মেরে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন দুই যুবক। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন দুই অভিযুক্তই।
ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের ভারসোভা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। সারা দিন রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে সমুদ্রের ধারের ফুটপাতে ঘুমোচ্ছিলেন গণেশ যাদব। আর বাবলু শ্রীবাস্তব এসেছিলেন স্থানীয় এক ঝুপড়ি থেকে। গরমে কষ্ট হচ্ছিল, তাই সমুদ্রের ধারে এসে শুয়ে পড়়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ধাক্কা মারে একটি এসইউভি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গাড়িটি গতি খুব বেশি ছিল। সে কারণেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে চালক ফুটপাতে তুলে দেন। প্রথমে বাবলুকে ধাক্কা মারেন। তাঁর মাথায় এবং হাতে আঘাত লাগে। ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম ভাঙতে লাফিয়ে তিনি পাশে চলে যান। তাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বাবলু। কিন্তু গণেশ সেই সুযোগ পাননি। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় গাড়িটি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় থানার পুলিশ। দু’জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা গণেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসা চলছে বাবলুর। দুর্ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। তবে পরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটি শনাক্ত করে পুলিশ। তার পর তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকেই গ্রেফতার করে। দুর্ঘটনার সময় তাঁরা নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না তা-ও পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। দু’জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, মাস তিনেকের মধ্যে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় রাতে বা ভোরের দিকে বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডবে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা প্রকাশ্যে এসে। কখনও মুম্বই, কখনও পুণে, আবার কখনও কখনও পালঘর। গত ১৯ মে পুণেতে পোর্শে গাড়ি দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের প্রাণ যায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মুম্বইয়েই বিএমডব্লিউ-র ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। গত ২ অগস্টে পালঘরে এক অধ্যাপককে গাড়িচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই পালঘরেই সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এক বাইক আরোহীকে পিষে দেয় গাড়ি। এ বার মুম্বই।