প্রতীকী ছবি।
শুধু মাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির তহবিল বা তাদের কর্মীদের বেতন থেকে পাওয়া অর্থ নয়, নরেন্দ্র মোদীর পিএম-কেয়ার্স তহবিলে এ দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিএম-কেয়ার্স তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিও। তহবিল তৈরির মাত্র কয়েক দিনেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা সেখানে জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।
ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স ৫০০ কোটি, টাটা গোষ্ঠী ৫০০ কোটি, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী ৪০০ কোটি এবং আদানি গোষ্ঠীর তরফে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এই তহবিলে। এ ছাড়া মাহিন্দ্রা গোষ্ঠী, টেক মাহিন্দ্রার মতো বেসরকারি সংস্থার তরফেও বিপুল অনুদান জমা পড়েছে এই তহবিলে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক সর্বোচ্চ ৮০ কোটি, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ৭০ কোটি টাকা দিয়েছে। এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত আর্থিক বছর যে ইয়েস ব্যাঙ্ককে খাদের মুখ থেকে টেনে তুলেছে, তারাও এই তহবিলে ১০ কোটি টাকা এবং কর্মীদের একদিনের বেতন বাবদ ১.৯ কোটি টাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।
এ দেশে করোনা অতিমারির একেবারে গোড়ার দিকে তৈরি হওয়া পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই তহবিলে জমা পড়া টাকা এবং তার খরচের হিসেব দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে বিরোধীদের তোলা দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই এটি সরকারি না বেসরকারি তহবিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় গত ডিসেম্বরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয় যখন কেন্দ্র জানায়, এটি সরকারি তহবিল কিন্তু তা তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় নয়। তহবিলটি নিয়ে প্রথম থেকে চলা বিতর্কের মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাসে এই তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে একটি মামলার শুনানি হবে।