অখিলেশ যাদব। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, সামগ্রিক বিরোধী জোটের সম্ভাবনা ততই দূরে সরে যাচ্ছে।
সনিয়া গাঁধীর ডাকে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। এ বার দলের নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণে বিজেপির সঙ্গেই এসপি ও বিএসপি-কেও আক্রমণের মন্ত্র শেখানোর সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে আগামী ১০০ দিন ধরে দলের নিচু তলা থেকে সমস্ত পদাধিকারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘বিজয় সেনা’ তৈরির কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। ‘প্রশিক্ষণ সে পরাক্রম’ নামের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে কংগ্রেসের তরফে নেতা-কর্মীদের হাতে যে ২৪ পৃষ্ঠার পুস্তিকা তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে যোগী আদিত্যনাথের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি অখিলেশ যাদবের এসপি সরকার ও মায়াবতীর বিএসপি সরকারের একই সুরে কড়া সমালোচনা রয়েছে। বলা হয়েছে, অখিলেশের আমলে রাজ্যে ‘একটি জাতি’ এবং ‘একটি পরিবার’-এর রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। যোগী সরকারকে কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু পুস্তিকার প্রচ্ছদে যোগীর সঙ্গে অখিলেশ, মায়াবতীর ব্যঙ্গচিত্র দিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কারা উত্তরপ্রদেশের হাল খারাপ করল? বিজেপি, এসপি, বিএসপি-কে ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ বলেও তকমা দেওয়া হয়েছে।
অতীতে এসপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের যেমন জোট হয়েছে, তেমনই বিএসপি-রও জোট হয়েছে। কিন্তু কোনওটাই সফল হয়নি। ২০২২-এর বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের জোট না হলে আখেরে বিজেপিরই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বলেছিলেন, বিরোধী জোটের সম্ভাবনার প্রশ্নে কংগ্রেস এখনও মন খোলা রাখছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এসপি-র দুই মহিলা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন এআইসিসি-তে উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা। একই ভাবে অখিলেশও কংগ্রেসের দিকে বার্তা দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, কংগ্রেস ও বিএসপি-কে ঠিক করতে হবে, কারা বড় শত্রু? বিজেপি না এসপি?
গত সপ্তাহে সনিয়ার ডাকে বিরোধী নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে অখিলেশ যোগ দেননি। মায়াবতীও না থাকায় এক মাত্র রাষ্ট্রীয় লোকদল ছাড়া উত্তরপ্রদেশের আর কোনও দল সেই বৈঠকে হাজির ছিল না। বৈঠকে সনিয়া থেকে শুরু করে সকলে বিরোধী জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও প্রশ্ন ওঠে, উত্তরপ্রদেশে তার প্রতিফলন কী ভাবে দেখা যাবে? কংগ্রেসের পুস্তিকার পরে সব দলই মনে করছে, বিরোধী জোটের সম্ভাবনা দূর অস্ত্।