ফাইল চিত্র।
বছর দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অনুপচন্দ্র পাণ্ডেকে মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। যোগী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁকে মুখ্যসচিব পদে বেছে নেন। কুম্ভমেলা, বিনিয়োগকারী সম্মেলন আয়োজনে পাণ্ডের সাফল্যই তাঁকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র করে তুলেছিল। সেই অনুপকে এ বার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করায় প্রাক্তন আমলা মহল ও রাজনৈতিক স্তরে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও। কারণ আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন।
অনুপ আজ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কমিশনে এখন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনারই আদতে উত্তরপ্রদেশের। গত কাল রাতে তাঁকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করার পরেও আজ সকাল পর্যন্ত অনুপের টুইটারে কভার-ছবিতে নরেন্দ্র মোদী, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর ছবি ছিল। যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি এ নিয়ে খোঁচা দেওয়ার পরে সেই ছবি সরানো হয়। এর পরেও প্রশ্ন থামেনি।
কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করাটা যুক্তিসঙ্গত কি না। নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা গত কয়েক মাসে এমনিতেই ধাক্কা খেয়েছে। কমিশনের মধ্যেই মতান্তর প্রকাশ্যে এসেছে। একজন পদত্যাগও করতে চেয়েছিলেন। নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানো দরকার। নতুন দায়িত্বে যিনি এসেছেন, তাঁর নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করাটা ও মেরুদণ্ড থাকাটা
খুবই জরুরি।”