উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়ত। —ফাইল চিত্র
চার বছর আগে উত্তরাখণ্ডে সরকার গড়েছিল বিজেপি। কিন্তু দশ জনের মন্ত্রিসভা গঠনের পর দেখা যায়, সাত জনই কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতা। মন্ত্রিসভায় বিজেপি-সঙ্ঘের পুরোনো লোক বলতে তিন জন। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়ত যাঁদের অন্যতম। সরকারের মাথায় এই আরএসএস প্রচারককে রেখে ও বেশির ভাগ অন্য দল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়ে, উত্তরাখণ্ডে নতুন রাজনৈতিক পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছিল বিজেপি। রাজনীতির সেই রসায়নাগার, উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি উঠেছে চার বছর পরে।
রাজ্যের চার বিক্ষুব্ধ মন্ত্রী ও ১০ জন বিধায়ক আগে থেকেই দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। এ বার মুখ্যমন্ত্রী রাওয়তকেও পাঠানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা ও দলের সাংগঠনিক সচিব বি এল সন্তোষ বৈঠকে বসেন। আগামী বছর ভোট। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে মুখ বদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছে এই বৈঠক।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গত শনিবার দলের সহসভাপতি রমন সিংহ ও দুষ্যন্ত গৌতমকে পর্যবেক্ষক হিসেবে দেহরাদূনে পাঠিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ ও আরএসএস নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ফিরে এসে নড্ডাকে জানান পরিস্থিতি। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, অজয় ভট্ট, অনিল বালুনি, সতপাল মহারাজদের নাম জল্পনায় রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি, অধিকাংশ বিজেপি বিধায়কই মত দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদে বদল না-হলে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে জেতা কঠিন হবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজে তো বটেই, রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বংশীধর ভগতও এমন বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।