ছবি: সংগৃহীত।
উপনির্বাচনে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক! তেমন নজিরের কথা মনে করতে পারছেন না নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত বা তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা ব্যক্তিত্বরা। সেই নজিরবিহীন ঘটনাই ঘটছে মধ্যপ্রদেশে। সেখানের উপনির্বাচনে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার মৃণালকান্তি দাস। তেমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৩ নভেম্বর, মধ্যপ্রদেশের ২৮টি বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে সাধারণ, পুলিশ এবং এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। উপনির্বাচনে সাধারণ ভাবে তেমনই করে থাকে দিল্লির নির্বাচন সদন। কিন্তু বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের নিয়োগের নজির নেই। আর এ বার মধ্যপ্রদেশের 'হাইভোল্টেজ' উপনির্বাচনে ১৯৭৭ সাল ব্যাচের আইপিএসকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক করল কমিশন। মণিপুর পুলিশের ডিজি হিসবে অবসর নেওয়া মৃণাল ২০২০ সালের দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। তার আগে ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটেও মৃণাল একই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা আর মিজোরামের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক ছিলেন মৃণাল।
ভোটের নিরাপত্তা দেখাশোনা থেকে স্থানীয় নির্বাচন পরিচালকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা থাকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকদের।
মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন রাজ্যের ক্ষমতার বিন্যাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভোট হওয়া আসনের বেশিরভাগ বিধায়ক কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। তাতেই রাজ্যের কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। ক্ষমতা যায় বিজেপি-র হাতে। আর সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার ক্ষেত্রে এই সব আসনের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে, দলত্যাগীদের ক্ষেত্রে আমজনতার মনোভাব কেমন, তা-ও বোঝা যাবে আগামী ৩ নভেম্বরের ভোটে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ফলে সেখানের নির্বাচনের 'তাপ' যথেষ্টই থাকবে। সেই কারণেই এই নজিরবিহীন নিয়োগ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। উপনির্বাচন ফল প্রকাশ হবে আগামী ১০ নভেম্বর।