দুর্গাপুজোয় অনুদান দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ বার চৈত্র নবরাত্রিতে জেলাগুলিতে আর্থিক সাহায্য প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজোর মডেল যেন এ বার উত্তরপ্রদেশের চৈত্র নবরাত্রিতে। জাঁকজমক করে এ বছর চৈত্র নবরাত্রি আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। উত্তরপ্রদেশে বিভিন্ন দুর্গামন্দির এবং শক্তিপীঠে বড় করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চৈত্র নবরাত্রি উদ্যাপনের জন্য প্রত্যেক জেলা এবং শিল্পীকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে যোগী সরকার।
ইউনেস্কো-র ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির দুর্গোৎসব। ঘটা করে প্রতি বছরই দুর্গাপুজো হয় বাংলায়। দুর্গাপুজোয় রাজ্যের ক্লাবগুলিকে অনুদান দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বহু বার। চৈত্র নবরাত্রি দুর্গারই পুজো। আর এই পুজো এ বার ঘটা করে আয়োজন করতে জেলাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল যোগীর সরকার। যা নিয়ে সে রাজ্যে সরব হয়েছে বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)।
৯ দিন ব্যাপী চৈত্র নবরাত্রি শুরু হবে আগামী ২২ মার্চ থেকে। সরকারের নির্দেশিকায় এ-ও বলা হয়েছে যে, এই উৎসবের সময় সমস্ত মন্দিরে ‘অখণ্ড রামায়ণ’ এবং ‘দুর্গা সপ্তশতী’ পাঠ করা হবে।
জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চৈত্র নবরাত্রিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোন শিল্পীরা অংশ নেবেন, তাঁদের বাছাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই কমিটিকে। শিল্পীদের জন্য পুরস্কার হিসাবে ১ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে ২ জন নোডাল অফিসারও নিযুক্ত করা হয়েছে।
যোগী সরকারের এ হেন উদ্যোগের সমালোচনায় সরব হয়েছে এসপি। টুইটারে এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব লিখেছেন, ‘‘এসপি সরকারের আমলে পুরোহিতদের সাম্মানিক দেওয়া হত। দর্শনার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা দেওয়া হত। এখন বিজেপি সরকার পুরোহিতদের সাম্মানিক বাড়ায়নি। সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুবিধা দেয়নি। অর্থ সংগ্রহের নতুন পথ খুঁজছে।’’ এই ভাবে ধর্মের বাণিজ্যিকিকরণ করা ঠিক নয় বলেও টুইটারে বিজেপিকে নিশানা করেছেন অখিলেশ।