সেঙ্গলের মতোই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তামিল মঠগুলিকে। —পিটিআই
একটি সোনার দন্ড। নাম সেঙ্গল। সেই সেঙ্গলই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তামিল শৈব মঠগুলির মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে দিয়েছে। তাই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ সব মঠের (তামিল ভাষায় অধীনম) প্রধান এবং সঙ্গীতশিল্পীদের। এই সব মঠগুলির পাশে থাকারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
রবিবার সকালেই বিশেষ বিমানে ১৯টি মঠের প্রধান এবং সঙ্গীতশিল্পীকে দিল্লি উড়িয়ে আনা হয়। এই ১৯ জন মঠাধ্যক্ষের সামনেই ধর্মীয় রীতি মেনে সেঙ্গলকে নতুন সংসদে প্রতিষ্ঠিত করেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবারের অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ছিলেন তামিলনাড়ুর ৬টি শৈব মঠের প্রধানরা। এই মঠাধ্যক্ষরা তামিল মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে সংসদ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই ছ’জন মঠাধ্যক্ষের মধ্যে চার জন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেন। আগেই জানানো হয়েছিল, চোল রাজাদের আমলে ব্যবহৃত হওয়া সেঙ্গল ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক।
নিজেদের শোচনীয় অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে ধর্মপুরম মঠের অন্যতম প্রধান এম কার্তিকেয়ন বলেন, “বহু তামিল মঠ প্রয়োজনীয় সাহায্যের অভাবে ধুঁকছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে আমাদের ডেকে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমরা আবার আমাদের ধর্মীয় কাজ শুরু করতে পারব।” তবে ভবিষ্যতেও সরকার যাতে তাঁদের পাশে থাকেন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন মঠের প্রধানরা। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আশ্বাস মিলেছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সরকারের প্রশংসা করে ভেলাকুরিচি মঠের প্রধান বলেন, “১৯৪৭ সালে মাত্র একটি মঠের প্রধান প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর হাতে সেঙ্গল তুলে দিয়েছিল। কিন্তু সেঙ্গল প্রতিষ্ঠায় ৬টি মঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল। এটা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি।