দু’বেলা জলের বরাদ্দ দু’ঘণ্টা করে

মাসের শেষে জল কিনতে হয় বলে প্রত্যেক ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। জলের চাপ এতটাই কম থাকে যে মাঝে মাঝে কল থেকে জল পড়েই না।

Advertisement

সোহম রায়

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৩:০১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এক বছর হল হায়দরাবাদ এসেছি, এমএসসি পড়তে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্ষা আর শীতে সে ভাবে বুঝিনি, কিন্তু মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে জলের সমস্যাটা টের পেলাম। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে একটি ফ্ল্যাটে থাকি দুই বন্ধুর সঙ্গে। মার্চ মাসের শুরু থেকেই জলের টান শুরু হল, যা অতি তীব্র হয়ে উঠল মাসের শেষের দিকে। সকালে দু’ঘণ্টা ও রাতে দু’ঘণ্টা করে জল পাওয়া যায়। শুধু আমাদের কমপ্লেক্সে নয়, আশেপাশের প্রত্যেক কমপ্লেক্সেই ছবিটা এক। ট্যাঙ্কার করে দু’বেলা জল আসে এবং মাসের শেষে জল কিনতে হয় বলে প্রত্যেক ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। জলের চাপ এতটাই কম থাকে যে মাঝে মাঝে কল থেকে জল পড়েই না।

Advertisement

আমার যে সহপাঠীরা ক্যাম্পাসে বাস করে, তাদেরও একই অভিজ্ঞতা। গত দু'মাস গরমের ছুটিতে একটি বেসরকরি সংস্থাতে ইন্টার্নশিপ করছি। জল যে সময় পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগটাই কাটে আমার কর্মস্থানে। ফলে বাড়ি ফেরার পর জল থাকে না। স্নান করার, জামাকাপড় কাচার, ঘর পরিষ্কার করার জল পাওয়া যায় না। গত দু’মাসে বেশ কয়েক বার খাবার জলের অতিরিক্ত ক্যান কিনে স্নান করতে হয়েছে।

এখন গরম অনেকটা কমেছে, কিন্তু জলের সমস্যা সেই একই। প্রকৃতিকে নিষ্ঠুর ভাবে ধ্বংস করার খেসারত আমরা দিচ্ছি‌। পরিবেশবিদরা এর থেকেও খারাপ দিনের ভয় দেখাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা উচিত‌। আর নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, সরকারকে সর্বতো ভাবে সাহায্য করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement