UP Assembly Election 2022

UP Assembly Election 2022: ভোটের দু’দিন পরেও অন্য দুশ্চিন্তা সপা শিবিরে, ইভিএম পাহারায় ব্যস্ত অখিলেশরা

ইভিএমে নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হস্তিনাপুরের এসপি প্রার্থী যোগেশ বর্মা তুলে এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও লখনউ শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২২ ০৭:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখ চোখ বসা। দৃশ্যতই চাপে রয়েছেন এসপি-র সর্বাধিনায়ক অখিলেশ সিংহ যাদব। গতকালের বুথফেরত সমীক্ষার পর আজ লখনউয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর শরীর-ভাষা দেখে মনে হল, এত লড়াই দেওয়ার পরেও জয় সম্পর্কে নিশ্চিত নন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম চুরির অভিযোগ তুলে বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “উত্তরপ্রদেশের এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। এই লড়াইয়ে হেরে গেলে দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের মতো করে যুদ্ধে নামতে হবে। দলের সমস্ত কর্মকর্তাকে বলছি, সতর্ক থাকুন। ভোট চুরি হতে দেবেন না।”

Advertisement

ভোটের লড়াই তো শেষ। তা হলে কোন লড়াইয়ের কথা বলছেন এসপি নেতা? এসপির এই শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, ভোট-চুরি রোখার লড়াই। রাত জেগে পাহারা দেওয়ার লড়াই। রাজনৈতিক শিবির বলছে, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হলে ফলাফলের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে এতটা আতঙ্কিত দেখাত না অখিলেশকে।

এসপির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, বারাণসীতে তিন বাক্স ইভিএম চুরির চেষ্টা প্রকাশ্যে এসেছে। গণনার দিন দু’য়েক আগে ট্রাকে চাপিয়ে ইভিএম চুরি করার চেষ্টা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন এসপি প্রধান ও তাঁর জোটসঙ্গীরা। অখিলেশের দাবি, তাঁদের কর্মীরা ইভিএম ভর্তি একটি ট্রাক আটকেছেন। যদিও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দু’টি ট্রাক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তাঁর প্রশ্ন, যদি কোনও সমস্যাই না থাকত, তা হলে ট্রাক দু’টি কেন পালিয়ে গেল? অখিলেশ আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর রয়েছে, যোগী আদিত্যনাথের এক প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে বিজেপির হারের সম্ভাবনা, সেখানেই যেন গণনার গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মতে, একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালেও।

Advertisement

গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, গণনাকেন্দ্রে কড়া নজর রাখতে। যাতে ইভিএম কেউ সরাতে না পারে। দেখা যাচ্ছে, এবার একই ঘটনা ঘটছে উত্তরপ্রদেশেও। গত কালই শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। প্রচারের ক্লান্তি গায়ে মেখেই এ বার ইভিএম পাহারা দিতে নেমে পড়ছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা।

যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বারাণসীর জেলাশাসক কৌশলরাজ শর্মা। তাঁর দাবি, ওই ইভিএমগুলি প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভোটে তা ব্যবহার করা হয়নি। শর্মার পাল্টা অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দল এ নিয়ে অযথা গুজব ছড়াচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম সিআরপি-র নজরদারিতে স্ট্রংরুমে সিল করা রয়েছে। নজর রাখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও নজর রাখছেন। শর্মা জানিয়েছেন, ভিডিয়োয় যে ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলি মান্ডির একটি গোডাউন থেকে বারাণসীর ইউপি কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাঁরা ভোট গণনার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্যই ওই ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

ইভিএমে নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হস্তিনাপুরের এসপি প্রার্থী যোগেশ বর্মা তুলে এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গই। তাঁর প্রশ্ন, কী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে? বুথফেরত সমীক্ষায় আভাস দেওয়া হয়েছিল, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার
গঠন করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement