সূত্রের মতে, এসপি-কে দুর্বল করা যায় এমন সমস্ত পদক্ষেপেই সক্রিয় বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
অখিলেশ সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লড়বেন বলে জানুয়ারি মাসেই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন সহারানপুরের বেহাত বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইমরান মাসুদ। এসপি-র কাছ থেকে টিকিট না পেয়ে তিনি এ বার বহুজন সমাজ পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন। সূত্রের খবর, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী তাঁকে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সূত্রের মতে, এসপি-কে দুর্বল করা যায় এমন সমস্ত পদক্ষেপেই সক্রিয় বিএসপি নেত্রী মায়াবতী।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই মুসলিম নেতা যথেষ্টই প্রভাবশালী। সম্প্রতি তিনি রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়ে নিয়েছিলেন একটি মারাত্মক অভিযোগ করে। কংগ্রেস ছাড়ার আগে তাঁর টুইটটি ছিল, ‘আমার সঙ্গে কুকুরের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষের পা ধরতে বাধ্য করা হয়েছে।’ এ হেন এক জন নেতাকে পাওয়া এসপি-র কাছে খুবই কাঙ্ক্ষিত ছিল ঠিকই, কিন্তু বেশির ভাগ বিধানসভা কেন্দ্রে অখিলেশের হাতে একাধিক প্রার্থী। নিজেদের দলের প্রার্থীরা তো রয়েছেনই, পাশাপাশি বিজেপি, বিএসপি এবং কংগ্রেস থেকেও এসেছেন অনেকে। অনেককেই আনা হয়েছে টিকিট দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়, বুঝতে পেরেই অখিলেশ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন, বিজেপি থেকে আর কোনও বিক্ষুব্ধ নেতাকে নেওয়া হবে না।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, ভোট যত এগিয়ে আসছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে মায়াবতীর মূল আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি নয়, বরং এসপি তথা অখিলেশ সিংহ যাদব। বিজেপি থেকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, পিছড়ে বর্গ, দলিত সম্প্রদায়ের নেতা ও কর্মীরা এসপি-তে যোগ দেওয়ার যে সাম্প্রতিক ঢল দেখা যাচ্ছে, তাতে বিজেপির থেকে বেশি প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যাচ্ছে মায়াকে। অখিলেশ ও তাঁর দল যে পুরোপুরি ভাবে দলিত-বিরোধী, তা তুলে ধরার জন্য অতীত খুঁড়ে উদাহরণও তুলে আনছেন তিনি। মায়াবতীর বক্তব্য, “এসপি-র সাম্প্রতিক অতীতের দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই তাদের দলিত-বিরোধী পদক্ষেপগুলি। ক্ষমতায় এসে সন্ত রবিদাস নগরের নাম তারা বদলে দেয়। সরকারি কাজে দলিতদের বেশি সুযোগ দেওয়া সংক্রান্ত বিলটিও তারা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।”
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বিরোধীদের নিজেদের মধ্যে এই লড়াইয়ের ফলে বিজেপিই যে শক্তিশালী হবে, তা না-বোঝার কথা নয় মায়াবতীর মত পোড় খাওয়া নেত্রীর। কিন্তু জেনেশুনেই এ বারের ভোটে বিজেপিকে সুবিধা
করে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন মায়া— এই অভিযোগ করছে এসপি এবং কংগ্রেস।