Mayawati

আবার মায়ার খেলা, সরব এসপি-কংগ্রেস

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর মায়াবতী দায়ী করেছিলেন মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে। তাঁর বক্তব্য ছিল, মুসলিমরা একবগ্গা ভাবে অখিলেশ সিংহ যাদবের এসপি-কে ভরসা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২৭
Share:

বসপা নেত্রী মায়াবতী। ফাইল চিত্র।

চব্বিশের ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আবার জেগে উঠছেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটারদের কাছে টানার জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। অন্য বিরোধী দল অর্থাৎ এসপি, আরএলডি এবং কংগ্রেসের বক্তব্যের নির্যাস, বিজেপি-বিরোধী ভোটকে একজোট হতে না দেওয়ার লক্ষ্যেই মায়ার এই খেলা! নিজের উপর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ কমাতে এর আগেও তিনি বার বার বিজেপি-কে রাজ্যে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলেই মনে করছেন এসপি নেতৃত্ব।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর মায়াবতী দায়ী করেছিলেন মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে। তাঁর বক্তব্য ছিল, মুসলিমরা একবগ্গা ভাবে অখিলেশ সিংহ যাদবের এসপি-কে ভরসা করেছে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাঁর কথায়, দলিত, উচ্চবর্ণ এবং ওবিসি ভোট ব্যাঙ্ক এসপি শাসনের আতঙ্কেই বিজেপি-কে আবার এনে বসিয়েছে।

এ বার মায়াবতী দলিত-মুসলমানকে এক বন্ধনীতে আনতে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি যোগী সরকার সমীক্ষা চালিয়ে সাড়ে সাত হাজার মাদ্রাসাকে অস্বীকৃত বলে ঘোষণা করেছে। মায়াবতী তার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশ্ন করেছেন, কবে এই মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে? এ কথাও টুইট করে স্মরণ করিয়ে গিয়েছেন তিনি যে তাঁর জমানায় ১০০টিরও বেশি মাদ্রাসাকে উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে কংগ্রেসকেও একহাত নিয়ে তিনি বলেছেন, অতীতে কংগ্রেস মাদ্রাসার আধুনিকীকরণের নামে মুসলিম ছাত্রদের ড্রাইভার অথবা মেকানিক হওয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকিয়ে তাদের অপমানই করেছিল।

Advertisement

বিবদমান কংগ্রেস এবং বিএসপি— দুই দলই শোচনীয় ফল করেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোটে। দীর্ঘ দিন উত্তরপ্রদেশ শাসন করা কংগ্রেস ২০২২-এর ভোটে সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে খারাপ ফল করে। ৪০৩টি আসনের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পান হাত চিহ্নের প্রার্থীরা। ভোট শতাংশ নামতে নামতে এসে ঠেকেছে ২.৫ শতাংশে। অন্য দিকে তিন-তিন বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকা মায়াবতীর দল মাত্র একটি আসন পেলেও, ভোট পায় ১৩ শতাংশ। যদিও তাদের ৭২ শতাংশ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সূত্রের বক্তব্য, নিজে জেতার থেকেও বিজেপি-বিরোধী ভোট কাটাই তাঁর অগ্রাধিকার ছিল।

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মায়াবতীর মূল আক্রমণের লক্ষ্য এখন আর বিজেপি নয়, বরং এসপি এবং কংগ্রেস। অখিলেশ ও তাঁর দল যে পুরোপুরি ভাবে দলিত-বিরোধী, তা দাবি করে মায়াবতীর বক্তব্য, “এসপি-র সাম্প্রতিক অতীতের দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই, তাদের দলিত-বিরোধী পদক্ষেপগুলি। ক্ষমতায় এসে সন্ত রবিদাস নগরের নাম তারা বদলে দেয়। সরকারি কাজে দলিতদের বেশি সুযোগ দেওয়া সংক্রান্ত বিলটিও তারা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement