আফ্রিকা থেকে আনা চিতা। ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে মঙ্গলবার আফ্রিকা থেকে আনা সপ্তম চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। তেজস নামের ওই চিতাটির মৃত্যুর কারণ জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে। যা বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের আগ্রহের কারণ হয়ে উঠেছে।
তেজসের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চিতাটি ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিছু দিন আগে জঙ্গলের আর একটি চিতার সঙ্গে তার লড়াই হয়। সে সময় শরীরের বেশ কিছু জায়গায় সে আঘাত পেয়েছিল। ওই লড়াইয়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি তেজস। তার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিল। যা তাকে শারীরিক ভাবে আরও দুর্বল করে দেয়। তাতেই ঘনিয়ে আসে মৃত্যু।
চলতি বছরের শুরুতেই তেজসকে ভারতে আনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। সে সময় তার বয়স ছিল সাড়ে পাঁচ বছর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এই চিতাটির ফুসফুস এবং কিডনিতে সংক্রমণ ছিল। তার ঘাড়ে অন্য চিতার আক্রমণের ক্ষত তৈরি হয়েছিল। মৃত্যুর সময় তেজসের ওজন ছিল ৪৩ কিলোগ্রাম। সাধারণ পুরুষ চিতার ক্ষেত্রে যা অনেকটাই কম। তার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক মতো কাজ করছিল না বলেও জানান চিকিৎসকেরা। তবে মৃত্যুর প্রত্যক্ষ কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে আতঙ্ককেই। এই নিয়ে গত চার মাসে কুনোতে আফ্রিকা থেকে আনা সপ্তম চিতার মৃত্যু হল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে এনেছিল মোদী সরকার। তার পর ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও ১২টি চিতা। তাদের কুনোর জঙ্গলে রাখা হয়েছে। তবে তার পর থেকে একের পর এক চিতার মৃত্যু কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।