প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকা নিতে পারেন। তাঁর সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের টিকা দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশ জুড়ে গণ টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। প্রথম পর্যায়ে কোভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়ের প্রথম সারির যোদ্ধা অর্থাৎ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা দেওয়া হবে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের। মোদী-সহ দেশের অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সেই তালিকায় চলে আসছেন। চলে আসছেন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী সাংসদ, বিধায়ক এবং অন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও।
জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-এর অনুমোদন পেয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’। প্রথম পর্যায়ের গণ টিকাকরণে এই দুটি প্রতিষেধকই ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়েও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, প্রথম পর্যায়ের গণ টিকাকরণের আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক নেতাদের টিকাকরণ নিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতারা টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পরই ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, সবার মতো আপনাদেরও অপেক্ষা করতে হবে।’’ বিহার, হরিয়ানা, ওডিশার মতো রাজ্যগুলি সাংসদ, বিধায়ক এবং অন্য জনপ্রতিনিধিদের ‘প্রথমর সারির কোভিড যোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করে টিকা পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে স্থানীয় স্বাশাসিত সংস্থাগুলির কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রথম দফাতেই টিকা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।