ছবি: সংগৃহীত।
কখনও ঘরে ফিরতে না পারা ভিন্ রাজ্যের শ্রমিক, তো কখনও লকডাউনে কাজ হারানো তরুণী— যখনই ডাক পড়েছে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদ। করোনা-সঙ্কটে এ বার পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন তরুণ অভিনেতা। মুখ খুললেন তাঁদের হয়ে।
মাস খানেক আগে এক সংবাদপত্রে একটি খবর প্রকাশিত হয়। তাতে জানা যায়, হিমাচলপ্রদেশের সীমানা ঘেঁষা হরিয়ানার মোরনির প্রত্যন্ত গ্রামে বেশ কিছু পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন নেই। অনলাইনে পড়াশোনার জন্য রোজ কয়েক মাইল দূরে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে তাদের যেতে হয়। স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি ওদের পরিবারের নেই। ফলে ঠিকমতো পড়াশোনা চালাতে অসুবিধা হচ্ছে পড়ুয়ারা। রিপোর্টটি টুইট করে সোনু সুদ এবং হরিয়ানা প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছিলেন ওই সাংবাদিক।
সোমবার অভিনেতা টুইট করে জানান, ‘বাচ্চাদের আর দৌড়োতে করতে হবে না। ওরা কালকের মধ্যেই স্মার্টফোন হাতে পেয়ে যাবে।’ প্রতিশ্রুতিমতো গত কালই স্মার্টফোন পেয়েছে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে করোনায় আক্রান্ত ২৩ কংগ্রেস বিধায়ক
করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই সঙ্কটে পঠন-পাঠন। তারই মধ্যে আগামী মাসে সর্ব ভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট) এবং জয়েন্ট পরীক্ষা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশ তাতে রাজি নয়। একই সুরে আজ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সোনু। তিনি বলেন, ‘‘এ বছর ২৬ লক্ষ পড়ুয়া ওই পরীক্ষায় বসবেন। ওঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি নিজেও এক জন ইঞ্জিনিয়ার। ...এ বছর বিহার থেকে অনেকেই পরীক্ষা দেবেন। কিন্তু সেখানে ১৩-১৪টি জেলা বন্যাকবলিত। ওই পড়ুয়াদের পক্ষে এতটা পথ যাতায়াত করা কী ভাবে সম্ভব? অনেকের কাছে এখন অন্যত্র গিয়ে থাকা-খাওয়ার টাকা নেই। এই মুহূর্তে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কাউকে জোর করা যায় না।’’ এ বিষয়ে অভিনেতার প্রস্তাব, পরীক্ষা দু’মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হোক। পড়ুয়ারা মানসিক ভাবে প্রস্তুত হলে, নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ নতুন করে দিন ঘোষণা করুক সরকার।