লাউডস্পিকারে আজান পড়া নিয়ে টুইটারে গায়ক সোনু নিগম বিতর্কিত মন্তব্য করার পরেই বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
সোমবার ভোরে সোনু টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, কেন লাউডস্পিকারে জোরে জোরে আজান পড়া হয়। কেন মুসলিম না হওয়া সত্ত্বেও রোজ সাত সকালে আজানে তাঁর ঘুম ভাঙানো হয়। এই ‘গুন্ডাগিরি’ বন্ধ করার দাবিও তুলেছিলেন তিনি।
এই মন্তব্যের জেরে আক্রমণের মুখে পড়লেও ইতিমধ্যেই সোনুকে সমর্থন করেছেন বলিউডের একাধিক সঙ্গীতশিল্পী, পরিচালক, অভিনেতা। শুধু মসজিদই নয়, গুরুদ্বার ও মন্দিরেও ধর্মের দোহাই দিয়ে যে ভাবে লাউডস্পিকার বাজানো হয়, তা নিয়ে অসম্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
একই সুর শোনা গিয়েছে মুম্বইয়ের বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মুখেও। তাদের দাবি, ধর্মপ্রতিষ্ঠানের চারপাশে ১০০ মিটার এলাকাকে ‘সাইলেন্ট জোন’ বলে চিহ্নিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। অথচ, সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনে মসজিদ-মন্দিরে জোরে জোরে লাউডস্পিকারে প্রার্থনা করা হয়। কংগ্রেস নেতা অহমেদ পটেলও এ দিন বলেন, ‘‘নমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আজান, লাউডস্পিকার নয়।’’
তাঁরা যে নিয়ম লঙ্ঘন করছেন, এ অভিযোগ মানতে নারাজ মন্দির-মসজিদ কর্তৃপক্ষ। যেমন, মুম্বইয়ের হাজি আলি দরগার উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য মুফতি মনসুর জিয়াই বলেন, ‘‘আজানের সময় শব্দসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।’’ সোনুকে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আজানে যে পরিমাণ আওয়াজ হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি শব্দদূষণ হয় ট্র্যাফিক, রেল, বিমানে। তা নিয়ে তারকারা মতামত দেন না কেন?’’ সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের অছি পরিষদের চেয়ারপার্সন নরেন্দ্র রাণে আবার বলেন, ‘‘মন্দির চত্বরের বাইরে যাতে শব্দ না যায়, তাই প্রার্থনার সময় লাউডস্পিকার কমিয়ে দেওয়া হয়।’’
গায়ক অবশ্য এই অভিযোগে কান দিচ্ছেন না। সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে বলে সোমবার যাঁরা তাঁকে আক্রমণ করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে সোনু এ দিন জানান, তাঁর সমস্যা লাউডস্পিকারে, আজান-আরতিতে নয়। লেখেন, ‘‘কাল যা বলেছি আজও তাই বলছি। মসজিদ বা মন্দিরে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করা উচিত।’’