National News

শিবরাত্রিতে পাকিস্তানের কটাস রাজ মন্দিরে পুজো সনিয়া-প্রিয়ঙ্কার তরফে

মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে পাকিস্তানের শিব মন্দিরে পুজো পাঠালেন সনিয়া গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। পঞ্জাবের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কটাস রাজ শিব মন্দির হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তীর্থ স্থান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৪:৩২
Share:

পাকিস্তানের সুপ্রাচীন কটাস রাজ মন্দির। ছবি: সংগৃহীত।

মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে পাকিস্তানের শিব মন্দিরে পুজো পাঠালেন সনিয়া গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। পঞ্জাবের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কটাস রাজ শিব মন্দির হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তীর্থ স্থান। হরিদ্বার সনাতন ধর্ম সংস্থার পাঁচ প্রতিনিধি কংগ্রেস সভানেত্রী ও তাঁর মেয়ের তরফ থেকে পুজোর সামগ্রী নিয়ে কটাস রাজ শিব মন্দিরে গিয়েছেন। প্রায় হাজার বছরের পুরনো শিব মন্দিরটিতে তাঁরাই আজ সনিয়া-প্রিয়ঙ্কার হয়ে পুজো দেবেন।

Advertisement

সনিয়া গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী প্রতি বছর শিবরাত্রিতে পুজো পাঠান কটাস রাজে। —ফাইল চিত্র।

পাক পঞ্জাবের চাকওয়াল জেলায় কটাস রাজ শিব মন্দিরটি অবস্থিত। এলাকাটি পঞ্জাবের রাজধানী লাহৌর থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, এই শিব মন্দির অন্তত ৯০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কারও কারও মতে, এই মন্দিরটি তার চেয়েও বেশি পুরনো। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পাকিস্তান মন্দিরটি বন্ধ করে দেয়। পরে অবশ্য মন্দিরটি ফের খুলে দেওয়া হয়। প্রতি বছরই সনিয়া গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী শিবরাত্রিতে পুজো পাঠান কটাস রাজ শিব মন্দিরে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

Advertisement

কটাস রাজ মন্দিরের এই সরোবর ভক্তদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।

শুধু ধর্মীয় কারণে নয়, ঐতিহাসিক কারণেই কটাস রাজ শিব মন্দির চত্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু পুরনো যুগের স্থাপত্যের নিদর্শন রয়েছে সেখানে। মন্দিরের গায়েই রয়েছে বৌদ্ধ স্তূপ এবং শিখ প্রতিষ্ঠানও। শিব মন্দিরের সঙ্গে একটি সরোবর রয়েছে, যা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে পৌরাণিক কাহিনীর প্রচলন রয়েছে। সরোবরটির অগভীর অংশের জল সবুজাভ, গভীর অংশের জল নীলাভ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভক্তদের বিশ্বাস, সরোবরটি ভগবান শিবের চোখের জলে পূর্ণ। তাই পূন্যার্থীদের কাছে ওই সরোবরও বরাবরই কটাস রাজের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। মন্দির ঘিরে ভিড়-ভাট্টা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়তে থাকায় দূষণের কারণে সরোবর এক সময় শুকিয়ে গিয়েছিল। পরে তাতে আবার জল ভরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আবার হারে চিন্তায় কংগ্রেস নেতৃত্ব

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement