Sonia Gandhi

‘বিদ্রোহী’দের সঙ্গে সনিয়ার বৈঠকের পরেই ৪ রাজ্যে শীর্ষনেতৃত্বে বদল

এ ছাড়া আগামী বছর অসম এবং কেরলে ভোটের কথা মাথায় রেখে এআইসিসি-র দুই অতিরিক্ত সম্পাদককে নিয়োগ করেছেন সনিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:৩০
Share:

কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। —ফাইল চিত্র

দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। শনিবার বৈঠকের পরেই একাধিক রাজ্যে নেতৃত্বে বদল শুরু করে দিল কংগ্রেস। তেলঙ্গানা, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে শীর্ষনেতৃত্বে রদবদল করছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। আগামী কয়েক দিনে বৈঠকের পর আরও বেশ কিছু রাজ্যে নেতৃত্বে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই দলীয় সূত্রে খবর।

Advertisement

গত লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পরেই কংগ্রেসে নবীন-প্রবীণ সঙ্ঘাত শুরু হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে। উঠেছে শীর্ষ নেতৃত্বে বদলের দাবিও। সেই সঙ্কট কাটাতেই ১০ দিন ধরে রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী-সহ দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ ও অনুগত উভয় পক্ষকে নিয়েই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনিয়া। শনিবার ছিল বৈঠকের প্রথম দিন। সেই বৈঠকের পরের দিনই শুরু হল পরিবর্তন।

হায়দরাবাদ পুরসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের দায় নিয়ে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উত্তম কুমার রেড্ডি। গুজরাতেও পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে ভাল ফল করতে পারেনি। উত্তমের মতো সেই দায় নিয়ে পদ ছেড়েছেন গুজরাত প্রদেশ কমিটির সভাপতি অমিত চাভদা। এই দুই প্রদেশ সভাপতির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের বালাসাহেব থোরাটকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। তবে তাঁদের জায়গায় কাদের বসানো হবে, সে বিষয় দলীয় সূত্রে কিছু জানানো হয়নি। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কমল নাথকেও সরানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

Advertisement

আরও পড়ুন: এ বার মমতাকে ফোন পওয়ারের, পাশে থাকার বার্তা, আসবেন প্রচারেও

আরও পড়ুন: শাহ যখন লাইভ শোয়ে, চুপচাপ রাজ্য চষছেন তাঁর ‘সপ্তরথী’

অন্য দিকে আগামী বছর অসম এবং কেরলে ভোটের কথা মাথায় রেখে এআইসিসি-র দুই অতিরিক্ত সম্পাদককে নিয়োগ করেছেন সনিয়া। অসমের দায়িত্ব পেয়েছেন জিতেন্দ্র সিংহ। তারিক আনোয়ারকে দেওয়া হয়েছে কেরলের দায়িত্ব। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, আগামী কয়েক দিনে একাধিক রাজ্যে এই রকম রদবদল করা হতে পারে বলে কংগ্রেস হাইকমান্ড সূত্রে খবর। শনিবার দীর্ঘ বৈঠক হয় সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসের অন্য নেতাদের। সূত্রের খবর, সেখানে সনিয়া শুরুতেই স্পষ্ট করে দেন, কংগ্রেস আসলে বৃহৎ একটা পরিবারের মতো, যেখানে ভিন্ন মত কারও থাকতেই পারে। কিন্তু, সেটা বড় করে দেখার কারণ নেই। রাহুলও সেখানে বলেছিলেন, দল যে ভাবে চাইবে, সে ভাবেই তিনি কাজ করবেন। তবে, সভাপতি হচ্ছেন কি না, সে প্রশ্নের উত্তরে বলেন তা ভবিষ্যতে ভোটের মধ্যে দিয়ে নির্ধারণ হওয়াই শ্রেয়। এর পরই সনিয়া এই পদক্ষেপ করলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement