রাজঘাটে সনিয়া গাঁধী।—ছবি পিটিআই।
মারা গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও। কেন্দ্রে তখন মনমোহন সিংহের সরকার। নরসিংহের দেহ দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ ছিল, সনিয়া গাঁধীই চাননি। তাই রাও পরিবার না-চাইলেও নরসিংহের শেষকৃত্য দিল্লির বদলে হয়েছিল হায়দরাবাদে। যে সনিয়ার বিরুদ্ধে রাওকে ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগ ওঠে, তাঁর মুখেই আজ শোনা গেল তারিফ। রাওয়ের মৃত্যুর ১৫ বছর পর!
রাজঘাটে আজ গাঁধীর পথে চলে ভারত নির্মাণের জন্য জওহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী ও মনমোহনের পাশাপাশি নরসিংহেরও নাম নিলেন সনিয়া। বললেন, ‘‘এঁরা সকলে ভারত নির্মাণে দিনরাত লড়াই করেছেন। সে কারণেই ভারত আজ এই উচ্চতায় পৌঁছেছে। গাঁধীর পথে হেঁটে এঁদের অবদানের জন্যই এত রোজগার তৈরি হয়েছে, দারিদ্র দূর হয়েছে, কৃষক-মহিলা-যুবকেরা সুবিধা পেয়েছেন।’’
সনিয়ার মুখে এই রাও-স্তুতিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন কংগ্রেসের নেতারা। কারণ গাঁধী-নেহরু পরিবারের বাইরে দলের বাকি নেতাদের কংগ্রেস উপেক্ষা করে বলে আক্রমণ শানিয়ে থাকেন নরেন্দ্র মোদী-সহ বিপক্ষের নেতারা। একে একে কংগ্রেসের আইকনদের নিজেদের বলেও দাবি করতে শুরু করেছে বিজেপি। সংসদের গত অধিবেশনেও মোদী বলেছিলেন, ‘‘আমিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি লালকেল্লা থেকে এ-যাবৎ সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথা কবুল করেছি। মনমোহন সিংহের সরকার কখনও বাজপেয়ীর প্রশংসা করেনি।’’