গুজরাত নিয়ে সনিয়ার কৌশল

গুজরাতে রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দুই প্রভাবশালী প্রার্থী শক্তিসিন গাহিল ও ভরত সিংহ সোলাঙ্কি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০৫:০৬
Share:

কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।—ছবি পিটিআই।

রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে গুজরাতের কোনও কংগ্রেস প্রার্থীই নাম প্রত্যাহার করলেন না। এমন পরিস্থিতি হবে বুঝেই দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী দুই কংগ্রেস নেতাকে ভোটে লড়ার বার্তা দিলেন। সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন শর্তও।

Advertisement

গুজরাতে রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দুই প্রভাবশালী প্রার্থী শক্তিসিন গাহিল ও ভরত সিংহ সোলাঙ্কি। কেউই প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি ছিলেন না। দিল্লিতে কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন, এমন পরিস্থিতিতে সনিয়া আগেই কৌশল স্থির করে ফেলেছেন। ভোটের দিন কংগ্রেসের বিধায়কদের বলা হবে, প্রথম পছন্দের ভোট শক্তিসিনকেই দিতে। দ্বিতীয় পছন্দের ভোট সোলাঙ্কিকে। এতে শক্তিসিনের রাজ্যসভায় যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সোলাঙ্কিকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁর জেতার জন্য যেটুকু বাড়তি ভোট প্রয়োজন, তা তাঁকেই জোগাড় করতে হবে।

২৬ মার্চ গুজরাতে চারটি আসনে ভোট। অঙ্ক অনুযায়ী, দু’টি আসন পেতে পারত বিজেপি। বাকি দুটি কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি তিন জনকে ভোটযুদ্ধে নামিয়েছে। তার পরেই শুরু হয় ক‌ংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার পালা। ভাঙন রুখতে কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানের জয়পুরে। তবে তার আগেই কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দেন। ফলে এখন কংগ্রেসের দুই প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা কঠিন।

Advertisement

কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছিলেন, একজন প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু রাহুল গাঁধী সভাপতি থাকার সময় থেকে দিল্লিতে প্রভাব বাড়িয়েছেন শক্তিসিন। আবার সোলাঙ্কিকে প্রার্থী না করলে তিনি শক্তিসিনকে হারিয়েও দিতে পারেন বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সনিয়া দিল্লি থেকে তিন পর্যবেক্ষককে আজ পাঠান জয়পুরে। তাঁরা সেখানে হোটেলে ‘বন্দি’ কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement