Congress

মানুষের সমস্যা প্রচারে ধরতে নির্দেশ সনিয়ার

কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, বিহারের ভোট ও মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা, কৃষি আইনের ফলে চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা তুলে ধরা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

ছবি: পিটিআই।

রাহুল গাঁধী চলতি সপ্তাহ থেকেই থেকে বিহারে ভোট প্রচার শুরু করছেন। তার আগে বিহারের বিধানসভা ভোট ও অন্যান্য রাজ্যের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন সনিয়া গাঁধী। রবিবার বিকেলে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সনিয়া ‘কৃষি-বিরোধী কালো আইন’, দলিতদের উপর নির্যাতন ও জিডিপি-সহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে অর্থনীতির দুরবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন। তাঁর মন্তব্য, “দেশের গণতন্ত্র সব থেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে।”

Advertisement

রাহুল বিহারে ছ’দিন জনসভা করবেন বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। তবে দিনে কতগুলি করে সভা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যে কয়েকটি জনসভা আরজেডি-র তেজস্বী যাদবের সঙ্গে হতে পারে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও তিন দিন বিহারে প্রচারে যেতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। বিহারের ভোটে বিজেপি ফের মেরুকরণ ও জাতীয়তাবাদের পথে হাঁটার চেষ্টা করছে। কিন্তু সনিয়া আজ কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে নির্দেশ দিয়েছেন, ভোটের প্রচারে মানুষের সমস্যার কথাই তুলে ধরতে হবে। বৈঠকের পরে এআইসিসি নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘যখন আমাদের গণতন্ত্র সব থেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে, তখন সনিয়াজি সকলকে মানুষের সমস্যা নিয়ে সরব হতে বলেছেন এবং তাঁদের হেনস্থার কথা তুলে ধরতে বলেছেন।”

কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, বিহারের ভোট ও মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা, কৃষি আইনের ফলে চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা তুলে ধরা হবে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনা টেনে মোদী সরকার ও বিজেপির ‘দলিত বিরোধী’ অবস্থানও তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্দার বল্লভভাই পটেলকে নিজের ‘আইকন’-র স্থানে বসিয়ে জওহরলাল নেহরুর নীতির সমালোচনা করেন। আজ পাল্টা চালে সনিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবর পটেলের জন্মদিনেই কংগ্রেস কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে ‘কিসান অধিকার দিবস’ পালন করবে। জেলায় জেলায় সত্যাগ্রহ ও উপবাসে বসবেন কংগ্রেস নেতারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: দেশে সংক্রমণ শিখর পেরিয়েছে, দাবি রিপোর্টে

আরও পড়ুন: রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিলেন হর্ষ বর্ধন​

এআইসিসি-তে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘এর পর ৫ নভেম্বর হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে মহিলা ও দলিত উৎপীড়ন বিরোধী দিবস পালন করা হবে। এ বছর নেহরুর জন্মদিন ১৪ নভেম্বরেই দীপাবলি পড়ছে। ১৩ নভেম্বর প্রতিটি জেলা সদরে নেহরুর মতাদর্শ নিয়ে আলোচনাসভা হবে। ১৪ তারিখে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উপর জোর দিয়ে নেহরুর আত্মনির্ভর ভারতের নীতির প্রচার করা হবে।” সনিয়া আগেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কেন্দ্রের কৃষি আইন খারিজ করতে রাজ্য নিজের আইন আনতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক। আজ পঞ্জাবে কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের চাষিদের স্বার্থরক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ প্রয়োজন মাফিক আইন আনবেন বা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে তাঁর হাতেই সমস্ত অধিকার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement