Shashi Tharoor

Sonia Gandhi: বিক্ষুব্ধদের বার্তা সনিয়ার, কমিটিতে মণীশ ও তারুর

এত দিন লোকসভায় কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক গোষ্ঠীতে দলনেতা অধীর চৌধুরী, উপদলনেতা গৌরব গগৈ ছাড়া তিন জন সদস্য ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২১ ০৮:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

অধীর চৌধুরীকে লোকসভার দলনেতার পদে রেখে দেওয়া হলেও, এ বার সনিয়া গাঁধী লোকসভায় কংগ্রেসের রণকৌশল তৈরির গোষ্ঠীতে মনীশ তিওয়ারি ও শশী তারুরকে নিয়ে এলেন। মনীশ ও শশী, দু’জনেই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর সদস্য। যাঁরা সনিয়াকে চিঠি লিখে দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

Advertisement

এত দিন লোকসভায় কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক গোষ্ঠীতে দলনেতা অধীর চৌধুরী, উপদলনেতা গৌরব গগৈ ছাড়া তিন জন সদস্য ছিলেন। মুখ্য সচেতক কে সুরেশ ও দুই সচেতক মাণিকম টেগোর ও রভনীত সিংহ বিট্টু। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরেই দলের নেতাদের একাংশ অধীরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বা লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরাতে সক্রিয় হন। অধীরকে লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরানো হলে মনীশ ও শশী সেই পদের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবেন। কিন্তু গত সপ্তাহেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনে অধীরই দলনেতা থাকবেন। কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, অধীরকে রেখে দিয়ে মনীশ, শশীকে লোকসভায় দলের নীতি নির্ধারক গোষ্ঠীতে নিয়ে এসে সনিয়া আসলে বিক্ষুব্ধদের ইতিবাচক বার্তা দিলেন। দলের মধ্যে ফাটল মেরামতেরও চেষ্টা হল।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাজ্যসভার কংগ্রেসের নীতি নির্ধারক গোষ্ঠীতে প্রয়াত আহমেদ পটেলের জায়গায় পি চিদম্বরম, অম্বিকা সোনি ও দিগ্বিজয় সিংহকে নিয়ে আসা হলেও, কপিল সিব্বলের মতো জি-২৩-র কোনও নেতা জায়গা পাননি। গত বছরে যখন বিক্ষুব্ধেরা সনিয়াকে চিঠি লেখেন, তখন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, উপদলনেতা আনন্দ শর্মা, দুজনেই সেই চিঠিতে সই করেছিলেন। আজাদ অবসর নেওয়ায় মল্লিকার্জুন খাড়্গে বিরোধী দলনেতা হলেও, শর্মা এখনও উপদলনেতা রয়েছেন। কিন্তু মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ, রাহুল ঘনিষ্ঠ কে সি বেণুগোপালের পাশাপাশি চিদম্বরম, অম্বিকা, দিগ্বিজয়কে নিয়ে এসে আনন্দ শর্মার গুরুত্ব কমিয়ে ফেলা হল বলেই কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement