ঘটনার পর সোনভদ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছবি: পিটিআই।
শতাধিক লোক লাঠি হাতে হামলা চালাচ্ছে গ্রামবাসীদের উপরে। গুলির আওয়াজের সঙ্গে শোনা যাচ্ছে আর্ত চিৎকারও। গুলি খেয়ে এক জন মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন আর এক মহিলা ভয়ে চিৎকার করছেন, ‘‘পুলিশ ডাক, পুলিশ ডাক।’’
১৭ জুলাই সোনভদ্রের ঘোরাওয়াল গ্রামে জমি-বিবাদে ১০ আদিবাসীকে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগ, গ্রামপ্রধান যজ্ঞ দত্তের নেতৃত্বে ২০০ জনের সশস্ত্র বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল কৃষকদের উপরে। সেই ঘটনার দু’টি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তারই একটিতে দেখা গিয়েছে উপরের দৃশ্য। এক গ্রামবাসী মোবাইলে এই ভিডিয়োটি তোলেন।
ঘটনার দু’দিন বাদে সোনভদ্রে যেতে গিয়ে বাধা পান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। গত কাল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোনভদ্রে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, এই সংঘর্ষের পিছনে ‘বড় রাজনৈতিক চক্রান্ত’ রয়েছে। তিনি এ-ও জানান, অভিযুক্ত যজ্ঞ দত্ত সমাজবাদী পার্টির সক্রিয় কর্মী। এই হামলায় ব্যবহৃত ১৪টি ট্র্যাক্টর পাঁচটি ও লাইসেন্স রয়েছে এমন অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৪৫টি বাঁশের লাঠিও পাওয়া গিয়েছে ওই জায়গায়। গত বৃহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত যজ্ঞ ও তার ছেলে ও ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু জমি বিবাদ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত, তাই তদন্তে সাহায্য করবেন জেলার রাজস্ব আধিকারিকেরা। যে জমি নিয়ে ঝামেলা, সেটি বন দফতরের হওয়ায়, তাদের নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত২৯ জন । খোঁজ চলছে ১৭ জনের।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।