হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগট। —ফাইল ছবি।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে গোয়ার রেস্তরাঁয় সোনালি ফোগটকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মেথামফেটামাইন বা মেথ। জানিয়েছে গোয়া পুলিশ। মাদকটি খাইয়েছিলেন হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর আপ্তসহায়ক সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সঙ্গী সুখবিন্দ্র সিংহ। প্রশ্ন উঠছে, এই মেথের কারণেই কি মৃত্যু হয়েছিল সোনালির?
গোয়া পুলিশের ডেপুটি সুপার জিবভা ডালভি জানিয়েছেন, আঞ্জুনার কার্লিস রেস্তরাঁয় সোনালিকে খাওয়ানোর পর পড়ে থাকা সেই মাদক শৌচালয় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, সেটি মেথ। গত সোমবার ওই রেস্তরাঁ থেকে টিকটক তারকা সোনালিকে হোটেলে নিয়ে গিয়েছিলেন সুধীর এবং সুখবিন্দ্র। এর পর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সোনালির পরিবার খুনের অভিযোগ করে। ধর্ষণের অভিযোগও করেছেন তাঁর ভাই।
সুধীর, সুখবিন্দ্রকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার মাদক আইনে কার্লিস রেস্তরাঁর মালিক এডউইন নুনস এবং মাদক চালানকারী দত্তপ্রসাদ গাঁওকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রশ্ন হচ্ছে মেথামফেটামাইন আসলে কী? হৃদ্যন্ত্র এবং মস্তিষ্কের ওপর কী ভাবে প্রভাব ফেলে এই মাদক?
‘আমেরিকার হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস’ সাবস্ট্যান্স অ্যাবিউস অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, মেথ এক ধরনের কৃত্রিম উত্তেজক, যা নিলে নেশা হয়। ধূমপানের মাধ্যমে, শুঁকে বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই মাদক নেওয়া হয়। অনেকে সরাসরি খান। যেমন জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল সোনালিকে।
মেথের প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মাদকটি শরীরে গেলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। এনার্জি বাড়ে। মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার ফলে অতি সক্রিয়তা তৈরি হয়। মেথের প্রভাবে রক্তচাপ, হৃদ্স্পন্দনও বেড়ে যায়। আমেরিকার হৃদ্রোগ বিষয়ক একটি জার্নালে লেখা হয়েছিল, মাদকটির প্রভাবে হৃদ্যন্ত্রের পেশিগুলি আকারে বড় হয়ে যায়। ফলে তা যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত পাম্প করতে পারে না। হতে পারে হার্টফেল।