(বাঁ দিকে) ভাস্করের স্ত্রীর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টাক করছেন পুলিশকর্মীরা। ‘পুষ্পা ২’ ছবিতে অল্লু অর্জুন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পুত্র বায়না ধরেছিল তাকে যেন অল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা ২’ ছবি দেখাতে নিয়ে যান। পুত্রের মন রাখতেই ছবির প্রিমিয়ারে সপরিবার হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে গিয়েছিলেন দিলসুখনগরের বাসিন্দা ভাস্কর। আর সেই যাওয়াই কাল হল। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে পুত্র শ্রী তেজা। স্ত্রীকে হারিয়ে এখন দিশাহারা ভাস্কর। বলছেন, ‘‘আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’’
ভাস্করের দুই সন্তান। স্ত্রী, পুত্র ছাড়া কন্যাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন সিনেমা দেখাতে। কন্যাও আহত। তবে সঙ্কটজনক নয়। কাঁদতে কাঁদতে এক সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘‘আমার ছেলে তেজা অল্লু অর্জুনের বড় ভক্ত। ও বায়না ধরেছিল, ‘বাবা আমাকে ‘পুষ্পা ২’ ছবি দেখাতে নিয়ে যাবে?’ জানতাম অল্লু অর্জুনের প্রতি ওর ভালবাসা রয়েছে, তাই আবদার ফেরাতে পারিনি। স্ত্রী, মেয়ে এবং তেজাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম।’’
বুধবার সন্ধ্যায় ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে দর্শদের ভিড় ছিল যথেষ্ট। সেখানে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা অল্লু অর্জুন। প্রিয় নায়ককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ ছাড়তে চাননি কেউই। ফলে তাঁকে দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। সিনেমাহল থেকে সকলে একসঙ্গে বার হওয়ার চেষ্টা করতেই বিপত্তি বাধে। হুমড়ি খেয়ে সেই ভিড়ের মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন ভাস্করের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা। সেই ভিড় তাঁদের উপর দিয়ে যায়। পুলিশ কোনও রকমে ভাস্করের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে উদ্ধার করে। কিন্তু জ্ঞান হারিয়েছিলেন ভাস্করের স্ত্রী। তাঁর পুত্রও অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিল। দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা ভাস্করের স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পুত্র তেজা সঙ্কটজনক।
এই ঘটনা নিয়ে নানা রকম আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অল্লু অর্জুন কেন অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াচ্ছেন না তা নিয়ে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তবে অল্লু অর্জুন এবং ‘পুষ্পা ২’ ছবি নির্মাতার তরফে ভাস্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সে কথা ছবির প্রযোজক বনি বাস গারু এক্সে জানিয়েছেন। অল্লু অর্জুনের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি নিজে গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। আর্থিক সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন।