—প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাবাকে বাঁচাতে পারলেন না যুবক। চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালেই মৃত্যু হল বৃদ্ধের। তাঁকে বাঁচাতে পুত্র নিজেই সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। অভিযোগ, ওই হাসপাতালে কোনও স্বাস্থ্যসহায়ক কর্মীও ছিলেন না।
ঘটনাটি জম্মু ও কাশ্মীরের রামবন জেলার। মৃতের নাম গুলাম নবি ভাট (৭১)। তিনি হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। বুধবার আচমকা বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পুত্র আলতাফ আহমেদ তাঁকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনিহালের উপজেলা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।
বাবাকে হাসপাতালের একটি শয্যায় শুইয়ে দেন যুবক নিজেই। তার পর কাউকে খুঁজে না পেয়ে নিজেই বাবার মুখে মুখ দিয়ে সিপিআরের চেষ্টা করেন। কিন্তু বাবাকে বাঁচাতে পারেননি। তাঁর শেষ মুহূর্তে বাবাকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অন্তত আধঘণ্টা বাবাকে নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন যুবক। অভিযোগ, কোনও ডাক্তার আসেননি তাঁকে দেখতে। এমনকি, কোনও নার্সও ছিলেন না। পরে ওই বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় কাশ্মীরের স্বাস্থ্যপরিকাঠামো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রামবনের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতালে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কেন ওই সময়ে হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না, তা খতিয়ে দেখবে কমিটি। দু’দিনের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট প্রস্তুত করে জমা দিতে হবে।