পুলিশকে সব্জি না দেওয়ায় গ্রেফতার নাবালক। ছবি: শাটারস্টক।
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা। আর পুলিশে ছুঁলে? গত তিন মাস ধরে জেলে রয়েছে পটনার এক দরিদ্র সব্জিওয়ালার ছেলে।
অপরাধ? পুলিশের মুখের উপর সে ‘না’ বলেছিল। পুলিশ বিনা পয়সায় সব্জি চেয়েছিল। কিন্তু সে রাজি হয়নি। স্থানীয় সংবাদপত্রের দাবি, সেই অপরাধেই তাকে জেলে চালান করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। সেরকমই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিহারের নীতীশ কুমার প্রশাসন।
বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ হলেও বেআইনি মদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের প্রায় আড়াইশো কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পুলিশের দুর্নাম ঘোচেনি। জানা গিয়েছে, সব্জি মালিকের ছেলেকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিজেদের ঘা়ড থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তাদের দাবি, মোটর বাইক চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মেরেছিলেন বীরাপ্পনকে, এ বার জঙ্গিদমনে কাশ্মীরে যাচ্ছেন বিজয়
আরও পড়ুন: নাম,ধর্ম বদলাতে বলে হেনস্থা দম্পতিকে, হস্তক্ষেপ সুষমার
অন্যদিকে সব্জি মালিকের অভিযোগ, গত ২০ মার্চ ছেলে বাড়ি না ফেরায় তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই জানতে পারেন, ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আধার কার্ড দেখিয়ে বাবার দাবি, তাঁর ছেলে নাবালক। বয়স মাত্র ১৪। তাকে অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে। যদিও আধার কার্জের বয়স মানতে রাজি নয় পুলিশ। তাঁদের বক্তব্য, ধৃতের বয়স অন্তত ১৮। সংবাদ মাধম্য বিষয়টি সামনে আনায় অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে নীতীশ কুমার প্রশাসন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।