বচসার সময়ে মায়ের বুকে লাথি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ৮০ বছরের বৃদ্ধার বুকে সজোরে লাথি মারায়, তাঁর পাঁজর ভেঙে গিয়েছিল। তাতেই গুরুতর জখম হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যুর হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ঘটনাটি কেরলের কোট্টায়মের পানাচিক্কড় গ্রামের।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার নাম সাথী (৮০)। রিপোর্টার লাইভ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছেলে বিজুর সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্ক ভাল ছিল না। বোন কেন বাড়িতে আসছে, তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে তাঁর হামেশাই অশান্তি হত। গত ২০ নভেম্বর রাজু যখন বাড়িতে ছিলেন না, সেই সময় তাঁর বোন আবার বাড়িতে এসেছিলেন। বার বার আপত্তি জানানোর পরেও বোনকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দেওয়ায় মায়ের উপর চটে যান বিজু।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনা থেকেই বচসার সূত্রপাত। বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে বিজু তাঁর মায়ের বুকে সজোরে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। তাতে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। তার পরেও বুকে এবং মুখে লাথি মারেন বিজু। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু কী ভাবে আহত হলেন সেই বিষয়টি বৃদ্ধা লুকিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। দাবি করেছিলেন, বাড়িতে পড়ে গিয়ে বুকে আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু গত ২৩ নভেম্বর বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
কিন্তু গ্রামবাসীদের মনে বৃদ্ধার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একটা সন্দেহ তৈরি হয়। ছেলে বিজুর আচরণেও তাঁরা অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেছিলেন। তার পরই গ্রামবাসীরা পুলিশ বিষয়টি জানাতে মনস্থির করেন। খবর পেয়ে বৃদ্ধার শেষকৃত্য মাঝপথে থামিয়ে দেয় পুলিশ। তার পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, বৃদ্ধার মুখে, বুকে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। পাঁজরও ভাঙা ছিল। তার পরই বিজুকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি মাকে মারধরের কথা স্বীকার করেন। তার পরই গ্রেফতার করা হয় বিজুকে।