৫৪টি ট্রেন সম্পূর্ণ অথবা আংশিক পথের জন্য বাতিল করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
পুজোয় মুম্বই থেকে স্বামীর সঙ্গে নিজের শহরে ফেরার ইচ্ছে ছিল কলকাতার সম্পূর্ণা মিত্রের। সেই জন্য ২৮ সেপ্টেম্বরের মুম্বই-কলকাতা দুরন্ত এক্সপ্রেসের টিকিটও কেটে ফেলেন। কিন্তু বুধবার সকালে জানানো হয়, সেই ট্রেন বাতিল হয়েছে। ট্রেন পুরো বাতিল, না, বিলাসপুর পর্যন্ত বাতিল, কলসেন্টারের কর্মীরা তা জানাতে পারেননি। অভিযোগ, কলসেন্টারের কর্মীর ব্যবহারও ছিল রুক্ষ। সম্পূর্ণা বলেন, ‘‘রেলের কাছ থেকে আরও দায়িত্ব এবং আরও কিছুটা সংবেদনশীলতা আশা করেছিলাম।’’ শুধু সম্পূর্ণা নয়, ট্রেন বাতিলের ফেরে তাঁর মতো পুজোয় ঘরমুখী অনেক বাঙালিই বিপাকে পড়েছেন। দক্ষিণ-মধ্য রেলের বিলাসপুর ডিভিশনের রায়গড় ও ঝাড়সুগুদার মধ্যে চতুর্থ লাইন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে। ওই লাইনের নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ৫৪টি ট্রেন সম্পূর্ণ অথবা আংশিক পথের জন্য বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের মধ্যে হাওড়া-মুম্বই ও হাওড়া-পুণে রুটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন থাকায় পুজোর মুখে বাংলায় ফিরতে সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী। বাতিলের তালিকায় আছে হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত, গীতাঞ্জলি, হাওড়া-পুণে আজাদ হিন্দ, হাওড়া-মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসএক্সপ্রেস প্রভৃতি।
বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক বিবেক ঘোষাল ২৮ সেপ্টেম্বর হাওড়া-মুম্বই দুরন্তের টিকিট কেটেছিলেন। তাঁর ট্রেনও বাতিল হয়েছে। তিনি বললেন, ‘‘উৎসবের মরসুমে আচমকা ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত যাত্রীদের উপরে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটা রেল আদৌ ভেবে দেখে কি?’’
মুম্বই-কলকাতা উড়ানে টিকিটের দাম এখন আকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় পুজোর মুখে ঘরে ফিরতে চাওয়া যাত্রীরা কী করবেন, তা নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছেন। রেলের আধিকারিকেরা হয়রানির কথা মেনে নিলেও এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যে যথেষ্ট আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া উচিত ছিল, সেটা মানছেন তাঁরা।