ডোভাল বললেন, দেশের সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত চলছে।
দেশের সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত চলছে। ধর্ম আর নীতির নামে হিংসার আবহ তৈরি করা হচ্ছে। শনিবার দিল্লিতে ধর্মগুরুদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ নিয়ে সতর্ক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মগুরুদের বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কেন আমন্ত্রিত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দিল্লিতে ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ‘অল ইন্ডিয়া সুফি সজ্জদানাশিন কাউন্সিল’। সেখানে যোগ দেন বিভিন্ন ধর্মগুরুরা। শান্তি এবং ঐক্য নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলে। পাশাপাশি, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বৈঠক শেষে ওই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও পাশ হয়।
সেই সম্মেলনেই ডোভাল বলেন, ‘‘কিছু শক্তি এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে, যাতে বাধা পাচ্ছে দেশের উন্নয়ন। ধর্ম আর নীতির নামে ওরা বিভেদ তৈরি করছে। এর প্রভাব পড়ছে গোটা দেশে, এমনকি, দেশের বাইরেও প্রভাব বিস্তার করছে।’’
ডোভালের এই বক্তব্যের পরেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত হয় সম্মেলনে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘পিএফআই এবং তার মতো অন্য যে সব সংগঠন দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে মদত দেয় এবং নাগরিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, সেগুলি নিষিদ্ধ করা উচিত। আইন মেনে পদক্ষেপ করা উচিত। কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর প্রমাণ মিললে আইন মেনে তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার সুপারিশ করছি।’
মাস দুই আগেই বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিও এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। মনে করা হচ্ছে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার এই মন্তব্য করেন ডোভাল। আর তার জেরেই সম্মেলনে কড়া প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিষিদ্ধ করা হল পিএফআইকে।