(বাঁ দিকে) আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সমাজকর্মী অণ্ণা হজারে (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁকে নিয়ে আক্ষেপের সুর সমাজকর্মী অণ্ণা হজারের গলায়। অণ্ণা জানান, নির্বাচনে সাফল্য পেতে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে তিনি অতীতে বার বার বুঝিয়েছেন কেজরীকে। কিন্তু তাঁর কথায় গুরুত্ব দেননি আপ প্রধান। উল্টে ধনদৌলতের মধ্যেই আচ্ছন্ন থেকেছেন তিনি।
দিল্লির নির্বাচন প্রসঙ্গে অণ্ণা বলেন, “আমি আগে থেকেই বলে আসছি, নির্বাচনের সময়ে প্রার্থীর আচরণ এবং ভাবনাচিন্তায় শুদ্ধতা থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য কোনও প্রার্থীর জীবন নিষ্কলঙ্ক হওয়া প্রয়োজন। তাঁর জীবনে ত্যাগ থাকা উচিত। কারও মধ্যে এই গুণগুলি থাকলে ভোটারদের মনে বিশ্বাস জন্মায়। আমি এ সব কথা বার বার বলেছি। কিন্তু তাঁর (কেজরীর) মাথায় এ সব প্রবেশ করেনি। তিনি বেশি গুরুত্ব দেন মদের উপর। কেন মদের দোকানের প্রসঙ্গ উঠল? কারণ, তিনি ধনদৌলতের মধ্যে বয়ে গিয়েছিলেন।”
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরীর সঙ্গে অণ্ণার এক সময়ের ‘বন্ধুত্ব’ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ২০১১ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অণ্ণার আন্দোলনের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল কেজরীকে। সেই সময়ে কেউ কেউ কেজরীকে ব্যাখ্যা করতেন অণ্ণার ‘ভাবশিষ্য’ হিসাবে। তবে এখন সেই ‘গুরু-শিষ্য’ সম্পর্কে ‘চিড়’ ধরেছে, সে খবরও নতুন নয়। অণ্ণার মঞ্চ থেকেই কেজরীওয়ালের পরিচিতি বলে অনেকে মনে করেন। ২০১২ সালে কেজরী রাজনৈতিক দল আপ গঠন করেন। যদিও রাজনৈতিক দল তৈরি নিয়ে অণ্ণার ঘোর ‘আপত্তি’ ছিল।
দিল্লি বিধানসভার ভোটগণনা এখনও চলছে। ৭০ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩৬টি আসন। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে আপ। হেরে গিয়েছেন কেজরীওয়াল এবং মণীশ সিসৌদিয়ার মতো প্রথম সারির আপ নেতারা। দিল্লিতে এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা কেজরীর দলের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কতগুলি আসন জুটবে, সে দিকে নজর রয়েছে সকলের। এই অবস্থায় একদা ‘ভাবশিষ্য’ বলে পরিচিত কেজরী প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অণ্ণা।