প্রতীকী ছবি।
গলায় বিষধর সাপ ঝুলিয়ে নিজস্বী তোলার ইচ্ছা হয়েছিল বছর সাতাশের যুবকের!
গ্রামের মন্দিরে সাপখেলা দেখাতে আসা সাপুড়েকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে একটা গোখরো জোগাড় করেছিলেন। মোবাইলে নিজস্বী তোলার সময়ই বিকাশ সিংহ নামে ওই যুবকের হাতে ছোবল মারে সাপটি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এলাকার লোকজন নিয়ে যান হাসপাতালে। সময়মতো প্রতিষেধক পেয়ে এ যাত্রায় বেঁচেছেন বিকাশ। তবে হাসপাতাল থেকে এখনও ছাড়া পাননি।
সোমবার ঘটনাটি ঘটে বিহারের গোপালগঞ্জের থাবে থানার বেদুটোলায়।
আরও পড়ুন:বায়ুসেনার নিশানায় ছিলেন মুশারফরা
স্থানীয় সূত্রে খবর, থাবে দুর্গামন্দির চত্বরে একটি দোকানে বিকাশের বাবা রামায়ণ সিংহ পুজোর সামগ্রী বিক্রি করেন। বাবাকে সাহায্য করতে সোমবার দোকানে গিয়েছিলেন বিকাশ। মন্দিরের সামনে সাপের খেলা দেখাচ্ছিলেন এক সাপুড়ে। গলায় গোখরো সাপ জড়িয়ে নিজস্বী তোলার ইচ্ছা হয় বিকাশের। ভেবেছিলেন, তাঁর মুখের পাশে ফণা তুলে থাকবে সাপটি। ঠিক তেমন ভাবেই তুলবেন নিজস্বী। সাপুড়ে সাপ দিতে রাজি ছিলেন না। বিকাশও নাছোড়বান্দা। শেষে ঝুলি থেকে একটি গোখরো বের করে দেন সাপুড়ে। দুর্গামন্দিরের সামনে গলায় সাপ জড়ান বিকাশ। ছবি তোলার সময়ই হঠাৎ গোখরোটি তাঁর হাতে ছোবল মারে। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিকাশ। বেহুঁশ হয়ে যান। ভিড় জমে যায়। আশপাশের লোকজন সঙ্গেসঙ্গে বিকাশকে হাসপাতালে নিয়ে যান। দ্রুত প্রতিষেধক পেয়ে বেঁচে যান বিকাশ। হট্টগোলের মধ্যে সুযোগ বুঝে ‘পোষ্য’কে নিয়ে চম্পট দেন সাপুড়ে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
নিজস্বীর নেশায় প্রাণহানির ঘটনা দিনদিন বাড়ছে গোটা বিশ্বে। সেই রকম মৃত্যুর প্রথম সারিতে রয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিপজ্জনক ভাবে নিজস্বী তুলতে গিয়ে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার ৭৬টি ঘটনা ঘটেছে ভারতেই।