কংগ্রেসকে তাঁর হুঁশিয়ারি, আদালতে তিনি বিষয়টি দেখে নেবেন। — ফাইল ছবি।
১৮ বছরের মেয়েটির ‘দোষ’ একটাই। তাঁর মা ‘সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীর ৫০০০ টাকা লুট’ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। মায়ের নাম স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁরই মেয়ের বিরুদ্ধে গোয়ায় বেআইনি পানশালা চালানোর অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। যা নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন স্মৃতি। কংগ্রেসকে তাঁর হুঁশিয়ারি, আদালতে তিনি বিষয়টি দেখে নেবেন। শনিবার স্মৃতি বলেন, ‘‘আমার মেয়ের দোষ, ওর মা ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে লড়েছিল।’’
ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র মামলায় গত মাসে ইডির জেরার মুখে পড়েন রাহুল গাঁধী। তখন সাংবাদিক বৈঠকে গাঁধী পরিবারের দিকে আঙুল তোলেন স্মৃতি। এ বার তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই ফের সাংবাদিক বৈঠক করে সরব হলেন তিনি। অভিযোগ করলেন, তাঁর মেয়ের ‘চরিত্রহনন’ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর মেয়ের চরিত্র জনসমক্ষে ‘বিকৃত’ করা হচ্ছে। স্মৃতির হুঁশিয়ারি, ‘‘ক্ষমতা থাকলে ওর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ আনুক কংগ্রেস।’’
কেন্দ্রীয় মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি এ-ও বলেন, ‘‘আইনের দরবারে এবং জনগণের আদালতে জবাব চাইব।’’ রাহুলকে ২০২৪ সালে আরও এক বার অমেঠী লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, উনি আবার হারবেন।’’
স্মৃতির মেয়ের আইনজীবী কিরাত নাগরা বিবৃতি দিয়ে জানান, তাঁর মক্কেল গোয়ার কোনও পানশালার মালিক নন। সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’।
গোয়ার কংগ্রেস যদিও এ সব মানছে না। তাদের মুখপাত্র পবন খেরার অভিযোগ, ওই পানশালার লাইসেন্স যে ব্যক্তির নামে নেওয়া হয়েছে, তিনি চার বছর আগেই মারা গিয়েছেন। আইনজীবী তথা সমাজকর্মী এয়ারেস রডরিগের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
রডরিগ অভিযোগ করেছিলেন, গোয়ার ওই পানশালার মালিক লাইসেন্স পেতে ‘ভুয়ো’ নথি জমা করেছেন। আদতে পানশালার মালিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতির পরিবার। রডরিগের অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জুলাই গোয়ার শুল্ক বিভাগের কমিশনার নারায়ণ গাদ ওই রেস্তরাঁর মালিককে নোটিস পাঠান। রডরিগের আরও অভিযোগ, এর পরেই নারায়ণকে বদলির প্রক্রিয়া শুরু করে গোয়ার বিজেপি সরকার।