অমেঠীতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ছবি: পিটিআই।
গত ১৫ বছরে রাহুল গাঁধী যেটা করতে পারেননি, সেটা করে দেখালেন সদ্য নির্বাচিত অমেঠীর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অমেঠীতে এ বার নিজের বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই অমেঠীতে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন স্মৃতি। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। মানুষ দু’হাত উজাড় করে তাঁকে সংসদে পাঠিয়েছেন। তাই নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রের ভাল-মন্দ দেখার জন্য চেষ্টার কোনও খামতি রাখতে নারাজ স্মৃতি। অমেঠীতেই নিজের স্থায়ী বাসস্থান গড়ার উদ্যোগ সে কারণেই। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিলেন, রাজনীতির রঙের কোনও বাছবিচার না করেই সকলের কাজে লাগতে চান। আর এ জন্য তাঁর বাড়ির দরজা সব সময়েই খোলা থাকবে।
দু’দিনের অমেঠী সফরে গিয়ে এক দণ্ডও বসে থাকেননি। ঘুরে বেড়িয়েছেন নানা এলাকা। মানুষের সমস্যা শুনেছেন। সমাধানের চেষ্টা করেছেন। আর এ সবের মধ্যে দিয়েই বার্তা দিতে চেয়েছেন, অমেঠীর মানুষ যে ভাবে তাঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তার ‘প্রতিদান’ দিতে সর্বদা প্রস্তুত। রাহুল গাঁধীকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন জনকল্যাণ প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হবে, এমন আশঙ্কা করার কোনও কারণ নেই বলেও জানান স্মৃতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জানি, প্রায় ৪ লাখ মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের উদ্দেশে বার্তা উদ্বিগ্ন হবেন না। উজালা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-র মতো সব জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা তাঁরাও পাবেন।”
শনিবার ৩০ কোটি টাকার একটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন স্মৃতি। সে দিনই অনুষ্ঠানের শেষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে তৈরি হওয়া বেশ কিছু বাড়ির চাবি অমেঠীর বহু মানুষের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, রবিবারেও ২৪০টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন তিনি। গৌরীগঞ্জের ‘গণ অন্নপ্রাশন’-এও যোগ দেন। তাঁর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরালও হয়েছে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র ছিল, কিন্তু এখন কিছুই রইল না, বলছে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত দরিয়াপুর
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদি বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার করেছিল আদরের ‘তিন্নি’