মণিপুরে প্রচারের ফাঁকে স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।
মণিপুরে নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বললেন, “যিনি তাঁর নিজের দলের দায়িত্বই নিতে চাননি। দলকে ফেলে পালাতে চেয়েছিলেন, এমন নেতা ও তাঁর দলের উপরে বিশ্বাস রাখা অর্থহীন।” তাঁর প্রশ্ন, “রাহুল দলের নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করে চিঠিতে লিখেছিলেন, তিনি কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিতে চান না। ভোটে হারজিত আছেই। কিন্তু কঠিন সময়ে যে নেতা সতীর্থদের ফেলে এমন পলায়নবাদী মনোভাব নেন, যে নেতা নিজের দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসী নন, তিনি কী ভাবে আপনাদের নেতৃত্ব দেবেন?”
দেশে মোট দশ কোটি ও মণিপুরে দেড় লক্ষ শৌচালয় তৈরি করে মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়াংখেই ও হেইংগাং এলাকায় জনসভায় স্মৃতির দাবি, “২০১৪ সালের আগে খোলা জায়গায় শৌচ করার জন্য মহিলারা একাকী বেরোতে বাধ্য হতেন। সমীক্ষায় দেখাচ্ছে ধর্ষণের ৪০ শতাংশই ঘটত সেই সময়। এ ছাড়া খোলা স্থানে মলত্যাগের ফলেই মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ হত।”
রাজ্যে হিংসা, নাশকতা দমনে এন বীরেন সিংহ সরকারের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। মণিপুরের জনজাতি নৃত্যে পা মেলান তিনি। পুজো দেন গোবিন্দজির মন্দিরে। মধ্যাহ্নভোজ সারেন মণিপুরি খাবার দিয়ে।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “২০১৭ সালের আগে মণিপুরের মহিলারা ভুয়ো এনকাউন্টারে পরিবারের লোকদের মৃত্যুর আশঙ্কায় কাঁটা হতে থাকতেন। কিন্তু এখন রাজ্যে শান্তি ফিরেছে। বিজেপি শাসনে কোনও ভুয়ো এনকাউন্টার হয়নি। বীরেনের
শাসনে নির্দোষরা সুরক্ষিত। মণিপুরে এখন বন্ধ মুক্ত।” রাহুল গাঁধী সাম্প্রতিক টুইটে দেশের অখণ্ডতা বোঝাতে গুজরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত দেশের ঐক্যের কথা বলেছিলেন। উত্তর-পূর্বের উল্লেখ না থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হচ্ছে। সম্বিত প্রশ্ন তোলেন, “যে দলের শীর্ষ নেতা উত্তর-পূর্বকে ভারতের অংশ মনেই করেন না। তাঁর দল কোন মুখে মণিপুরে ভোট চায়?”