cataract

জন্মেই চোখে ছানি! সংখ্যা বাড়ছে দেশে, শঙ্কা বাড়ছে ভবিষ্যতে অন্ধত্ব বৃদ্ধিরও, বলছেন চিকিৎসকরা

হায়দরাবাদের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ সত্যপ্রসাদ বাল্মিকী জানিয়েছেন, শিশুদের ছানি নিয়ে জন্মানো নতুন কিছু নয়। তবে এ ভাবে সদ্যোজাতদের চোখে ছানি বেড়ে যাওয়ার ঘটনা বেশ উদ্বেগের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছানি নিয়েই জন্মাচ্ছে এ দেশের বহু শিশু! এমনই জানাচ্ছে একটি সমীক্ষা। সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ৬ জন চোখে ছানি নিয়েই জন্মগ্রহণ করছে। এই ছানিই শিশুদের অকাল অন্ধত্বের কারণ হচ্ছে বলে মনে করছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু কেন বাড়ছে এই ধরনের ঘটনা? তা নিয়ে নানা মতপার্থক্য আছে চিকিৎসকদের মধ্যেও।

Advertisement

হায়দরাবাদের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ সত্যপ্রসাদ বাল্মিকী জানিয়েছেন, জন্মসূত্রেই শিশুদের ছানি নিয়ে জন্মানো নতুন কিছু নয়। তবে এ ভাবে সদ্যোজাতদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর মত, প্রসূতির বহন করা কোনও জীবাণু থেকে কিংবা ডাউন সিনড্রোমের মতো কোনও রোগ থেকেই এই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

তবে চিকিৎসকরা একটি বিষয়ে একমত যে, পাঁচ বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির হওয়ায় এবং সঠিক উপায়ে প্রসব করানোর ফলে সদ্যোজাতদের মধ্যে ছানি পড়ার ঘটনায় অনেকটাই লাগাম পরানো গিয়েছে। কিন্তু শহরাঞ্চলে প্রসূতিদের থাইরয়েডের সমস্যা, হজমের সমস্যা, আগাম সন্তানপ্রসবের ফলে এই ধরনের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত চিকিৎসকদের।

Advertisement

নয়ডার একটি চক্ষু হাসপাতালের অধ্যক্ষ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ সৌরভ চৌধুরীর মতে, আগে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতি বছর ৬-৭ জন আসতেন। এখন সেটাই বেড়ে ১০-১৫ জন হয়েছে। তাঁর আরও বক্তব্য, দেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ যে অন্ধ শিশু আছে, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১৫ শতাংশের অন্ধত্বের কারণ ছানি।

আর এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, শিশুমৃত্যুর হার আগের চেয়ে অনেক কমেছে। সঙ্কটজনক শিশুদের বাঁচাতে যে জীবনদায়ী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তাতে স্টেরয়েড থাকছে। এর ফলেই ছোটদের ছানি নিয়ে জন্মানোর ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত তাঁর। শিশুদের এই ছানি নিয়ে জন্মানোর অন্য একটি সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে প্রথমে শিশুরা অস্পষ্ট দেখতে থাকলেও, তারা তাদের সমস্যার কথা বলতে পারছে না। কিন্তু যতক্ষণে সমস্যাটা বোঝা যাচ্ছে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement