স্থানীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের অন্য গাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করান। ছবি: টুইটার।
পথ দুর্ঘটনায় ছয় মাসের একটি শিশুকন্যার মৃত্যুকে ঘিরে পুলিশের গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডে এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের গাড়ির সঙ্গে রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে শিশুকন্যাটি মারা যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম সাভি। এই ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার সকালে ফরিদাবাদ থেকে গুরুগ্রামের পথে যাচ্ছিল পুলিশের একটি গাড়ি। হঠাৎ রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে পুলিশের গাড়িটির। গুরুগ্রামের ঘাটাগ্রামের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়িটি রাস্তার ভুল দিক দিয়ে আসছিল। সংঘর্ষের পর পুলিশ-সহ গাড়ির চালক গাড়িটি রাস্তায় ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের অন্য গাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও।
পুলিশ সূত্রের খবর, যে এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার কাছে একটি যৌনপল্লি রয়েছে। পুলিশের যে গাড়িটি রাস্তার ভুল দিক দিয়ে আসছিল তা একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স ভেহিকল (ইআরভি)। সাধারণত, আপৎকালীন পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হয় এই ইআরভি। অন্য দিক থেকে আসা গাড়িতে ছিলেন ২৩ বছর বয়সি রিঙ্কু, তাঁর ছেলে প্রিয়াঙ্ক, মা ববিতা, রিঙ্কুর বোন কাজল, কাজলের ছেলে অভি এবং তাঁর ছয় মাস বয়সি শিশুকন্যা সাভি। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর মারা যায় সাভি। রিঙ্কু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাভির বাবা বিশ্বজিৎ মান দিল্লি সরকারের অধীনে শিক্ষা দফতরে কর্মরত। বিশ্বজিতের অভিযোগ, পুলিশের গাড়িটি যিনি চালাচ্ছিলেন, তাঁর অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ডিএলএফ ফেজ-ওয়ান থানায় ওই চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।