Sitaram Yechury

Sitaram Yechury: সরাসরি সংঘাত চাই, যুব সমাবেশে ইয়েচুরি

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসু, রামচন্দ্র ডোম-সহ গোটা রাজ্য নেতৃত্ব হাজির থাকলেও তাঁরা কেউ মঞ্চে ওঠেননি। বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে (ইজ়েডসিসি) আজ, শুক্রবার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা পি শশীকুমারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২২ ০৬:৪৭
Share:

ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশ। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে।

পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাস-সহ জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে এক দিকে মানুষের জীবন দুর্বিষহ। বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে দেশের সম্পদ। আর অন্য দিকে, কেন্দ্রের শাসক দল জাতপাত, ধর্ম, গোষ্ঠীর নামে বিভাজনের রাজনীতিতে মানুষকে বিভক্ত করে রাখতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে দলের যুব সমাবেশ থেকে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় যাওয়ার ডাক দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর মতে, তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কিন্তু তাঁরা চান সংঘাত।

Advertisement

কলকাতায় ডিওয়াইএফআইয়ের একাদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে ইয়েচুরি দেশের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে বাংলার উদাহরণও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই সরকারকে ( কেন্দ্র) বদলে দেওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। বাংলায় বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। এ রামনবমী করে, তো ও রামনবমী করে। এ হনুমান জয়ন্তী করে, তো ও-ও তা-ই করে! এ দল ভাঙায়, ও-ও দল ভাঙায়! এই প্রতিযোগিতা করে বিজেপিকে রোখা যাবে না। সরাসরি সংঘাত চাই। যুব সংগঠন হিসেবে ডিওয়াইএফআই-কে সেই কাজ করতে হবে। তারা সেই ক্ষমতা রাখে।’’ সংঘাতের রাস্তায় যেতে গিয়ে তাঁদের যুব সংগঠনের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক ‘শহিদ’ হয়েছেন বলেও উল্লেখে করেছেন ইয়েচুরি।

তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূল তো দলের ব্যানারে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী পালন করেনি। ইয়েচুরি দিল্লিতে থাকেন, বাংলার পরিস্থিতি জানেন না। বিজেপির সঙ্গে শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলই লড়ছে।’’

Advertisement

সমাবেশ উপলক্ষে এ দিন হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’টি মিছিল এসেছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। ভিড় চলে গিয়েছিল ধর্মতলার মোড় পর্যন্ত। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ‘নিহত’ দুই ছাত্র ও যুব নেতা আনিস খানের বাবা ও বিদ্যুৎ কয়ালের মা। সেখানেই ইয়েচুরি বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচার চালিয়ে, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, মানুষ প্রতিবাদে নেমেছে বলে। মানুষ প্রতিবাদে নামলে এ দেশের সরকারের অবস্থাও তা-ই হবে! মানুষকে সংগঠিত করার দায়িত্ব যুবদের।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘পরিবেশ তৈরি আছে, আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তুলে তাকে কাজে লাগাতে হবে।’’ ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘আনিস বা অন্যান্য ঘটনায় আন্দোলন করার সময়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে নৃশংস আচরণ করে আমাদেরই তৈরি করে দিয়েছে! এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব।’’

যুব সিপিএমের সর্বভারতীয় সভাপতি এ এ রহিম, সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখোপাধ্যায় প্রাক্তন সভাপতি এবং কেরলের পূর্তমন্ত্রী মহম্মদ রিয়াস সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসু, রামচন্দ্র ডোম-সহ গোটা রাজ্য নেতৃত্ব হাজির থাকলেও তাঁরা কেউ মঞ্চে ওঠেননি। বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে (ইজ়েডসিসি) আজ, শুক্রবার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা পি শশীকুমারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement