(বাঁ দিকে) চন্দ্রবাবু নায়ডু, নরেন্দ্র মোদী (মাঝে) এবং জগন্মমোহন রেড্ডি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠালেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতেও সে কথা উল্লেখ করেছেন জগন। তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রধানের। এই ধরনের ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য মোদীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মোদীর জোটনির্ভর সরকারে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক চন্দ্রবাবু। এ বছরের লোকসভা ভোটের পর বিহারের নীতীশ এবং অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল এনডিএ জোট। এই অবস্থায় চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মোদীকে চিঠি পাঠালেন ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের জগন। ওই চিঠিতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান লিখেছেন, “চন্দ্রবাবু সর্বক্ষণ মিথ্যা বলেন। মিথ্যা বলা তাঁর অভ্যাস। এখন তিনি এতটাই নীচে নেমে গিয়েছেন যে নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কোটি কোটি মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। এমন নির্লজ্জ ভাবে মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং সত্যিটা প্রকাশ্যে আনা উচিত।” মোদীকে পাঠানো চিঠিতে তিনি আরও অভিযোগ তুলেছেন, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানের মর্যাদা ও পবিত্রতা ‘নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন’ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাই়ডু।
তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে গত বুধবারই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন চন্দ্রবাবু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগনের সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘি-র সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি দাবি করেছিলেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস আগেই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছে।
মন্দিরে ঘি রফতানিকারক একটি সংস্থা জানাল, ‘গরুর বিশুদ্ধ দুধ’ থেকেই তারা ঘি তৈরি করে। বিশুদ্ধতার প্রমাণস্বরূপ তাদের কাছে ল্যাবরেটরির রিপোর্ট রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই এ বার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর কাছে ইতিমধ্যে একটি সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।