বিজেপি বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি
কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়ক রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পেল না বেঙ্গালুরু পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)।
এক মহিলাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আসায় মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে হয়েছিল জারকিহোলিকে। এ নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছিল সিট। তবে একটি জাতীয় সংবাদপত্রের দাবি, সিটের ওই তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা ও তাঁর দুই সহযোগী বিজেপি নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে এখন ওই তিন জনের বিরুদ্ধে পাল্টা চার্জশিট দেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ। জারকোহলি ওই মহিলাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেননি বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। মহিলা নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার বলে দাবি করলেও তা সঠিক নয় বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিয়ে সিটের এই তদন্ত রিপোর্ট ধাক্কা খেয়েছে আদালতে। সিটের প্রধান গত ১ মে থেকে ছুটিতে থাকায় কর্নাটক হাই কোর্ট তদন্ত রিপোর্টের আইনি ভিত্তি নিয়েই আজ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ওই যুবতী এবং জারকিহোলির তরফে আসা দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতে করা এফআইআর নিয়ে তদন্ত বন্ধ করতে সিটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিটের রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে কী ভাবে প্রকাশিত হল, তা নিয়েও জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
১১ মার্চ আইপিএস আধিকারিক সৌমেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিটের গঠন করেছিলেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার। তবে ১ মে থেকে শারীরিক কারণে ছুটি আছেন ওই আইপিএস।