মৃত হর্ষিতা ব্রেল্লা। অভিযুক্ত পঙ্কজ লাম্বা (ইনসেটে)। — ফাইল চিত্র।
পণের জন্যই ২৪ বছরের হর্ষিতা ব্রেল্লাকে খুন করেছেন তাঁর স্বামী! এমনটাই দাবি করলেন মৃতার দিদি সোনিয়া ব্রেল্লা। গত ১৪ নভেম্বরে ব্রিটেনের ইলফোর্ডে স্বামী পঙ্কজ লাম্বার গাড়ির ভিতর থেকে হর্ষিতার দেহ উদ্ধার হয়। সেই থেকে ফেরার পঙ্কজ। ব্রিটেনের আদালতে মামলা চলছে।
গত ২২ মার্চ পঙ্কজের সঙ্গে বিয়ে হয় হর্ষিতার। সোনিয়ার দাবি, তার পর থেকেই বার বার পণ চেয়ে তাঁদের চাপ দিচ্ছিলেন পঙ্কজ। তিনি বলেন, ‘‘বাবা অনেক যৌতুক দিয়েছিলেন। তার পরেও সন্তুষ্ট হননি পঙ্কজ।’’ সোনিয়ার আরও দাবি, পণের জন্য তাঁর বোনকে মারধর করতেন পঙ্কজ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা চাইতে বাধ্য করতেন। এই মারধরের কারণে হর্ষিতা স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। একটি কাজ নিয়ে অন্য জায়গায় থাকতেন। তার পরেও হর্ষিতার বেতনের টাকা পঙ্কজ ছিনিয়ে নিতেন বলে দাবি করেছেন সোনিয়া। হর্ষিতার বাবা সাবির ব্রেল্লার কথায়, ‘‘নিজের সব টাকা মেয়ে স্বামীকে দিয়ে দিত। ও ভাবত, সব ঠিক হয়ে যাবে। এ রকম হবে, ও বুঝতে পারেনি।’’
ব্রিটেনের পুলিশ মনে করছে, ১০ নভেম্বর খুন করা হয়েছে হর্ষিতাকে। তিনি করবিতে থাকতেন। ওই দিনই শেষ বার তাঁকে করবিতে একটি হ্রদের ধারে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। পুলিশ সূত্রে খবর, পঙ্কজের গাড়িতে চাপিয়ে করবি থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে পূর্ব লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হর্ষিতার দেহ। ১৪ নভেম্বর ইলফোর্ডের পার্কিংয়ে রাখা গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। এই খুনের মামলার শুনানি চলছে নর্দাম্পটন আদালতে। পরের শুনানি ২০২৫ সালের ২১ মে।