ফাইল ছবি
পঞ্জাবের সঙ্গরুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী সিমরণজিৎ সিংহ মানের মুখে শোনা গেল জঙ্গি-বন্দনা! তাঁর এই সাফল্যের পিছনে খলিস্তানি জঙ্গি জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের শিক্ষা রয়েছে বলেই দাবি করেছেন মান। যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে, উত্তরপ্রদেশের দুই কেন্দ্র আজ়মগড় ও রামপুরে বিজেপির জয়ের পিছনে মায়াবতীর ভূমিকা সামনে এসেছে।
সঙ্গরুর কেন্দ্রে জয়ের পরেই শিরোমনি অকালি দল (অমৃতসর)-এর সভাপতি সিমরণজিৎ সিংহ মান বলেছেন, ‘‘এই জয় আমাদের দলের কর্মীদের, জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের দেওয়া শিক্ষার।’’ তাঁর জয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ১৯৮৪ সালে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লুস্টার ও তাতে ভিন্দ্রানওয়ালের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মান। স্বর্ণমন্দিরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে অপারেশন ব্লুস্টারের বিরোধিতায় মান পুলিশ সার্ভিস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। লোকসভা উপনির্বাচনে জয়ের পর মান জানিয়েছেন, তিনি ‘কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার অত্যাচার’কে সংসদে তুলে ধরবেন। আর ‘বিহার ও ছত্তীসগঢ়ে নকশালপন্থী নাম করে জনজাতিদের হত্যা’ নিয়েও সরব হবেন।
সিমরণজিৎ মানের বক্তব্যের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘‘পঞ্জাব সন্ত্রাসের সেই অন্ধকার দিনগুলিতে ফিরে যেতে পারে না। যে কথা সামনে এসেছে— তা যদি সত্যি হয়, তা হলে সঙ্গরুরে আজ গণতন্ত্রের হার হয়েছে।’’
এ দিকে, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজ়মগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হারের পিছনে মায়াবতীর ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিজেপি-বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, আজ়মগড়ে মুসলিম ভোট ভাগাভাগি করতেই প্রার্থী দিয়েছিলেন মায়াবতী। তার ফল ভুগতে হয়েছে সমাজবাদী পার্টিকে। লাভ হয়েছে বিজেপির। আবার রামপুর কেন্দ্রে দলিত ভোট পেতে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে প্রার্থীই দেয়নি মায়াবতীর দল। গেরুয়া শিবিরের জয়ে যা বড় ভূমিকা নিয়েছে।
এই দুই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির হারের পর অখিলেশ যাদবকে নিশানা করেছেন এমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি বিজেপিকে হারাতে অক্ষম।’ অখিলেশকে নিশানা করে ওয়েইসির মন্তব্য, ‘‘অখিলেশের এতটাই ঔদ্ধত্য যে তিনি মানুষের কাছে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। দেশের মুসলিমদের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক সত্তা তৈরি করুন।’’