রাহুল গাঁধী। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সংসদে যখন কৃষি বিল পাশ হল, তখন কোথায় ছিলেন? আর এখন পঞ্জাবের কৃষকদের জন্য সহানুভূতি উপচে পড়ছে! তিন দিনের ‘খেতি বাঁচাও যাত্রা’ উপলক্ষে ট্র্যাক্টর র্যালি করতে গিয়ে এমনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে। প্রশ্ন অকালি দলের। যারা সম্প্রতি কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে একই নৌকার সওয়ারি দুই দল— কংগ্রেস এবং অকালি দল। কিন্তু এই কৃষি বিল নিয়েই অকালি দলের তোপের মুখে পড়তে হল রাহুলকে। অকালি দল যে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস তথা রাহুল গাঁধীদের বিরুদ্ধে, সে প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা রাহুলকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু গা বাঁচিয়ে। রাহুল বলেন, “আমার মা চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। বোনের বেশ কিছু কর্মীর কোভিড হওয়ায় সংসদে যেতে পারেনি। মায়ের সঙ্গে থাকায় আমারও যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর ছেলে আমি, তাঁকে দেখাশোনা করাও তো কর্তব্য আমার।”
তবে শিখদের প্রতি যে তাঁর অগাধ আস্থা রয়েছে মঙ্গলবার সে বার্তাও দিয়েছেন রাহুল। পঞ্জাবের মানুষের কাছে তিনি যে ঋণী সে কথাও সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন। রাহুল বলেন, “কথা নয়, আমার কাজ দেখা উচিত পঞ্জাবিদের। ওঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ১৯৭৭-এ যখন ঠাকুমা (ইন্দিরা গাঁধী) নির্বাচনে হারলেন, শিখদের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের পাশে আর কেউ ছিল না। আমি শিখদের কাছে ঋণী।”
আরও পড়ুন: ‘ধাক্কা সহ্য করে নেব, রক্ষা করব দেশ’, যোগীর পুলিশকে বার্তা রাহুলের
এ দিন রাহুল বলেন, “খেতি বাঁচাও যাত্রা ‘কালা আইন’-এর বিরুদ্ধে। যে আইন দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে। পঞ্জাব, হরিয়ানায় এর যথেষ্ট প্রভাব পড়ছে।”
কৃষি বিল নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হরিয়ানা, পঞ্জাব। কৃষি বিলের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামেন বহু কৃষক। পথে নামে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলিও। এই আন্দোলনকে আরও শক্তি জোগাতে রবিবারই পঞ্জাবে গিয়েছেন রাহুল। সোমবার তাঁকে একটি ট্র্যাক্টরের সামনে গদি আঁটা চেয়ারের উপর বসে র্যালিতে বেরতে দেখা যায়। এ নিয়ে কটাক্ষও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।
তিনি বলেন, “কৃষি বিলের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ শুরু করেছে কংগ্রেস তা রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়া আর কিছু নয়। ট্র্যাক্টরের উপর গদি আঁটা চেয়ারে বসে প্রতিবাদ হয় না। এটা ‘প্রতিবাদের নামে পর্যটন’। যা শিক্ষিত কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটা প্রচেষ্টা।”
তাঁকে কটাক্ষের জন্য বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে রাহুল বলেন, “আয়কর দাতাদের টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে যে বিশেষ বিমান কেনা হয়েছে তাতে শুধু গদিই নেই, জন্য রয়েছে বিলাসবহুল বিছানাও।”