নিহত সিধু মুসেওয়ালা। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালা খুনের মামলার অন্যতম চক্রী লরেন্স বিশনইকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি থেকে পঞ্জাবে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হল। মঙ্গলবার পঞ্জাব পুলিশের তরফে দিল্লির একটি আদালতে জানানো হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে লরেন্সকে তিহাড় জেল থেকে পঞ্জাবে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। পঞ্জাবের মানসা জেলা আদালতে লরেন্সকে পেশ করার জন্য ট্রানজিট রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কুখ্যাত দুষ্কৃতী লরেন্সকে পঞ্জাবে আনার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সশস্ত্র পুলিশের ৫০ জন কমান্ডোর পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ির। প্রসঙ্গত, কানাডায় পলাতক গ্যাংস্টার সতীন্দ্র সিংহ ওরফে গোল্ডি ব্রারের ‘বার্তা’ পেয়েই মুসে ওয়ালাকে খুনের জন্য লরেন্স পরিকল্পনা করেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পঞ্জাব পুলিশ। রাস্তায় লরেন্সকে ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করেই এমন নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গত ২৯ মে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন পঞ্জাবি গায়ক সিধু। ওই খুনের তদন্তে নেমে পঞ্জাব পুলিশ লরেন্স গ্যাংয়ের সদস্য সন্তোষ যাদব, হরকমল রানু, কেশব এবং চেতনকে গ্রেফতার করেছে। খুনের দিন সন্দীপ সিংহ ওরফে কেকদার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কেশবকে। খুনের ঠিক আগেই পঞ্জাবি গায়কের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছিলেন সন্দীপ। আগেই সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিধুর বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় রেইকি চালাতে কেশবকে সাহায্য করেছিলেন সন্দীপ। প্রসঙ্গত, ঘটনার আগেই মুসে ওয়ালার নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছিল পঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকার।