ফাইল ছবি।
পঞ্চাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালাকে সরাতে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল যত্ন করে, দীর্ঘদিন সময় নিয়ে। তদন্তকারী দলের দাবি, শুধুমাত্র খুনের ঘটনা ঘটাতে খরচ করা হয়েছিল কোটি টাকা। লক্ষাধিক টাকা করে পেয়েছিলেন প্রত্যেক আততায়ী। এহ বাহ্য, ‘অপারেশনে’ ব্যবহার হয়েছিল শুধুমাত্র সেই সব অস্ত্র, যা নিজের গানে উল্লেখ করতেন মুসে ওয়ালা।
মুসে ওয়ালাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার পর ফেরার পথে গাড়িতেই আনন্দে মেতেছিলেন অভিযুক্তরা। এমন ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু জানেন কি, গোটা ঘটনাকে বাস্তব রূপ দিতে যাতে সামান্য ভুলও না হয়, সে জন্য ঘটনার ‘ট্রায়াল’ও দিয়েছিলেন আততায়ীরা! তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চোখ কপালে তোলা তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, জনপ্রিয় পঞ্জাবী গায়ককে খুন করতে বাজেট ছিল ১ কোটি টাকা। প্রত্যেক শার্প শ্যুটার পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ টাকা করে। বাকি টাকা খরচ হয়েছিল ঘটনায় যুক্ত অন্যান্যদের পিছনে।
তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, মুসে ওয়ালা নিজের গানে যে সমস্ত বিদেশি অস্ত্রশস্ত্রের কথা উল্লেখ করতেন, তাঁকে খুনের ঘটনাতেও সেই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার করা হয়েছিল। বাড়তি হিসেবে ছিল শুধু একে ৪৭। ২৯ মে হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে থেকেই শার্প শ্যুটাররা পঞ্জাবের মানসার কাছে একটি খামার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেই বার বার চলেছিল ঘটনার ‘ট্রায়াল’। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ঠিকমতো চলছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হয় ওই খামার বাড়িতে।
গত ২৯ মে মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খুনের সঙ্গে জড়িত পালিয়ে কানাডায় আশ্রয় নেওয়া গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ও তিহাড়ে বন্দি আর এক গ্যাংস্টার লরেন্স।